ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ঘনিষ্ঠ হওয়া রাশিয়া এবং চীন সামরিক জোট তৈরি করছে না বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা একেবারে স্বচ্ছ রয়েছে। ক্রেমলিনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের কয়েক দিন পর রোববার রাশিয়ার সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে এক ভাষণে এসব কথা বলেছেন পুতিন।

গত ২০ ও ২১ মার্চ দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের সময় পুতিন এবং শি চীন-রাশিয়ার বন্ধুত্বের কথা স্বীকার করেন। এ সময় দুই রাষ্ট্রনেতা উভয় দেশের সামরিক ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে পুতিন বলেছেন, ‘আমরা চীনের সঙ্গে কোনও সামরিক জোট তৈরি করছি না। হ্যাঁ, সামরিক-প্রযুক্তিগত মিথস্ক্রিয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা রয়েছে। আমরা এটা গোপন করছি না।’

‘সবকিছুই স্বচ্ছ, গোপন কিছু নেই।’

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনে কয়েক হাজার সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা দেওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে চীন ও রাশিয়া একটি ‘সীমাহীন’ অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করে। পুতিনের সৈন্য পাঠানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা থেকে বিরত রয়েছে বেইজিং। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে একটি শান্তি পরিকল্পনার কথা বলেছে চীন।

তবে চীনের এই শান্তি পরিকল্পনার প্রস্তাবকে ইউক্রেনে রুশ বাহিনী পুনর্গঠনে পুতিনকে আরও সময়ের সুযোগ করে দেওয়ার চক্রান্ত হিসাবে দেখছে পশ্চিমারা। তারা চীনের শান্তি পরিকল্পনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

কয়েক দিন আগে ওয়াশিংটন বলেছে, বেইজিং রাশিয়াকে অস্ত্র দিতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছে। তবে চীন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

জ্বালানি ও আর্থিক খাতের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেইজিংয়ের সাথে মস্কোর সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং চীনের ওপর রাশিয়া অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে উঠছে বলে পশ্চিমারা যে সমালোচনা করছেন, তার জবাবে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে পুতিন বলেছেন, এটা ‘ঈর্ষান্বিত লোকজনের’ মতামত।

তিনি বলেছেন, ‘দশকের পর দশক ধরে অনেকেই চীনকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে চায়। আমরা যে বিশ্বে বাস করি তা বুঝতে পারি। আমরা সত্যিই আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সম্পর্ক যে স্তরে পৌঁছেছে তার মূল্যায়ন করি।’

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস