ফাইল ছবি

অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়া পাকিস্তানে বেতন পাচ্ছেন না রেলওয়ের কর্মীরা। আর এর জেরে তারা বিক্ষোভে নেমেছেন এবং মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) টানা দ্বিতীয় দিনের মতো এই বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল।

বুধবার (২৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেতন পরিশোধ না করায় মঙ্গলবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন পাকিস্তান রেলওয়ের (পিআর) কর্মীরা। এদিন লাহোরের পিআর ডিজেল ইঞ্জিন শেডে বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারী জড়ো হন।

এসময় কর্মচারীরা অবিলম্বে তাদের বেতন পরিশোধের দাবি জানান। এমনকি রেলওয়ের বিসি ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরাও এখনও বেতন পাননি বলে জানা গেছে।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, পাকিস্তান রেলওয়ে এমপ্লয়িজ (পিআরইএম) ইউনিয়নের ডাকে সারাদেশে ডিজেল ইঞ্জিন শেড, ওয়াশিং লাইন, রেলওয়ের সদর দপ্তর ও বিভাগীয় অফিসে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা।

বিক্ষোভের সময় ডিজেল ইঞ্জিন শেডের কর্মীরা ইঞ্জিন বন্ধ করে দেন। এছাড়া বিক্ষোভকারীরা রেলওয়ে প্রশাসন ও রেল মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ‘যখনই আমাদের বেতন পরিশোধে দেরি হয়, তখনই আমরা অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়ি। শিশুদের ফি, বিদ্যুৎ বিলসহ অন্যান্য বিষয়ও আটকে আছে।’

আর তাই বেতন-ভাতা না পাওয়ার প্রতিবাদ-বিক্ষোভের পরিধি আরও বাড়ানোর কথাও জানিয়েছেন কর্মচারীরা।

এর আগের দিন সোমবার রেলের কর্মীরা তাদের বেতন না দেওয়া নিয়ে ডিজেল ইঞ্জিন শেড এবং লাহোর স্টেশনে বিক্ষোভ করে। মূলত বেতন না পাওয়ায় দু’টি পৃথক বিক্ষোভের আয়োজন করে পিআরইএম ইউনিয়ন।

সংবাদমাধ্যম বলছে, পিআরইএম কর্মকর্তারা রেলওয়ে প্রশাসনের এই ধরনের মনোভাবের তীব্র নিন্দা করেছেন। ইউনিয়নের বিভাগীয় সভাপতি ফাইয়াজ আহমেদ শেহজাদ বলেন, রমজান মাসে রেল শ্রমিকদের চুলা জ্বলছে না এবং তারা সাহরি ও ইফতার ছাড়া রোজা রাখতে বাধ্য হচ্ছেন।

টিএম