ভারতে ১৯৫২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে চিতাকে বিলুপ্ত প্রাণী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আবারও দেশটিতে এই বড় বিড়ালের অস্তিত্ব ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। এরই অংশ হিসেবে ২০২২ সালে আফ্রিকার দেশ নামিবিয়া থেকে ৮টি ও ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১২টি চিতা আনা হয়।

চিতার অস্তিত্ব ফিরিয়ে আনার যে মিশন হাতে নেওয়া হয়েছে, সেটিতে সফল হয়েছেন ভারতের বন্যপ্রাণী বিষয়ক কর্মকর্তারা। তাদের তত্ত্বাবধানে থাকা নামিবিয়ার একটি চিতা ৪টি শাবকের জন্ম দিয়েছে। আর এ মাধ্যমে দীর্ঘ ৭০ বছর পর বিলুপ্ত প্রাণীটির জন্ম হয়েছে ভারতের মাটিতে।

ভারতের পরিবেশমন্ত্রী ভুপেন্দর যাদব চিতা শাবকের জন্ম হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘এটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি চিতা প্রজেক্টের দলের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই, চিতাকে ভারতের ফিরিয়ে আনা এবং পরিবেশগত যে অবিচার হয়েছে সেটি সংশোধনের নিরলস প্রচেষ্টার জন্য।’

এই শাবকগুলোর জন্ম হয়েছে কুনো জাতীয় পার্কের বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যতে। ভারতীয় বার্তাসংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া বুধবার (২৯ মার্চ) জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে শাবকগুলোর জন্ম হয়েছে প্রায় পাঁচদিন আগে। কিন্তু বন কর্মীরা তাদের বুধবার দেখতে পান।

পার্কের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ৪টি শাবক ও তাদের মা সিয়ায়া সুস্থ ও সবল আছে।

অব্যাহত শিকার, বাসস্থান উজাড় হয়ে যাওয়া এবং পর্যাপ্ত খাবার না থাকার কারণে ধীরে ধীরে ভারতের মাটি থেকে হারিয়ে যায় চিতা। ১৯৫২ সালে এটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

বিশ্বে বর্তমানে ৭ হাজারের বেশি চিতা রয়েছে। যেগুলোর বেশিরভাগই পাওয়া যায় আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া এবং বসনিয়াতে।

চিতা পুরো প্রাণীকূলের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষীপ্র গতি সম্পন্ন প্রাণী। এটি শিকার ধরতে ঘণ্টায় ১১২ কিলোমিটার গতিতে দৌঁড়াতে পারে।

সূত্র: বিবিসি

এমটিআই