কুয়ালালামপুরে অবস্থিত উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস

অর্থপাচারের অভিযোগে উত্তর কোরিয়ার এক নাগরিককে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিয়েছিল মালয়েশিয়া। এরপর মালয়েশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় উত্তর কোরিয়া। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে মালয়েশিয়া ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে করে দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা এখন চরমে।

উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিকসহ সকল কর্মচারীকে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে দেশ ছাড়তে বলেছে মালয়েশিয়া সরকার। শুক্রবার (১৯ মার্চ) বিকেলে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এ বিষয়ে দেশটির জাতীয় সংবাদমাধ্যম ‘মালয়েশিয়া কিনিতে’ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থপাচারের দায়ে উত্তর কোরিয়ার এক নাগরিক মুন চল মিয়ংকে আদালতের নির্দেশে মালয়েশিয়ার যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়ার পর থেকে এ বিরোধের সৃষ্টি।

উত্তর কোরিয়ার সরকারি গণমাধ্যম অবশ্য মালয়েশিয়ার আদালতের রায়কে ‘অবাস্তব, বানানো ও চক্রান্ত’ বলে অভিহিত করেছে। এরই জেরে মালয়েশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে বলেও পিয়ংইয়ংভিত্তিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

কোরিয়ার দাবি, মুন চল মিয়ং সিঙ্গাপুরে বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন। তাকে ফাঁসানো হয়েছে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রকেও চরম মূল্য দিতে হবে। এটা ওয়াশিংটনের চক্রান্ত। যুক্তরাষ্ট্রই হলো তাদের রাষ্ট্রের শত্রু। মালয়েশিয়া ব্যাপক শত্রুভাবাপন্ন হয়ে এ কাজ করেছে।

তবে মালয়েশিয়া বলছে, উত্তর কোরিয়ার এই বৈরী আচরণে বাধ্য হয়ে তারা কূটনৈতিককে বহিষ্কার করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং ভালো প্রতিবেশী সম্পর্কের চেতনাকে অসম্মান জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

মালয়েশিয়ার সরকার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে মুন চল মিয়ংকে ওয়াশিংটনের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তখন মুন সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আদালতে যান। পরে আদালতও তাকে যুক্তরাষ্ট্রে হস্তান্তরের রায় দেয়।

এফআর/এএস