ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চেয়ে মোটা অঙ্কের জরিমানা গুণতে হচ্ছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। 

গুজরাট হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রকাশ্যে আনা অপ্রয়োজনীয়। বিষয়টি নিয়ে তথ্য অধিকারের  কথা তুলে অহেতুক আবেদন করায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নরেন্দ্র মোদির ডিগ্রি শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্য আনার দাবিতে বছর সাতেক আগে একটি আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে জাতীয় তথ্য কমিশন গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডিগ্রি প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দেয়। কিন্তু কমিশনের সেই নির্দেশ মানতে রাজি হয়নি গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়। তারা জানিয়ে দেয়, এভাবে আবেদনের মাধ্যমে কোনও ছাত্রের ডিগ্রি প্রকাশ করা আইনবিরুদ্ধ।

গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন দাবির পর হাইকোর্টে পাল্টা মামলা দায়ের করেন কেজরিওয়াল। মামলার শেষ শুনানিতে আদালতে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, দায়িত্বজ্ঞানহীন শিশুসুলভ কৌতূহল কোনওভাবেই জনগণের স্বার্থ হতে পারে না এবং এটাকে তথ্য অধিকার আইনের আওতায় আনা যেতে পারে না। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি তো জনমানসে প্রকাশ্যেই দেওয়া আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটেও বিস্তারিত তথ্য আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই যুক্তি মেনে নিল গুজরাট হাইকোর্ট। 

নরেন্দ্র মোদির ডিগ্রি সম্পর্ক বিস্তারিত তথ্য তো কেজরিওয়ালকে দেওয়া হলোই না, উল্টো বিচারব্যবস্থার মূল্যবান সময় নষ্ট করার জন্য ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হলো তাকে। 

উল্লেখ্য, মোদির ডিগ্রি নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলে আসছে বহুদিন আগে থেকেই। মোদির নিজের দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাগত ছাত্র হিসেবে ১৯৭৮-এ তৃতীয় ডিভিশনে বিএ পাস করেন তিনি।  ১৯৮৩ সালে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম ডিভিশনে এমএ পাস করেন।  

এনএফ