তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ১২৮ ঘণ্টা ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে ‍উদ্ধার হওয়ার পর রীতিমতো তারকা বনে গিয়েছিল সদ্যজাত শিশুটি; তবে ধারণা করা করা হয়েছিল— শিশুটির মা ধ্বংসাবশেষের তলায় চাপা পড়ে মারা গেছেন।

এবার ঘটল আরেক বিস্ময়কর ঘটনা। ভূমিকম্পের ৫৪ দিন পর ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শিশুটির মায়ের সন্ধান পাওয়া গেছে। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বর্তমান উপদেষ্টা ও সাবেক উপমন্ত্রী আন্তন গ্রাশচেঙ্কো সোমবার এক টুইটবার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

টুইটবার্তায় শিশুটির দু’টি ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে গ্রাশচেঙ্কো বলেন, ‘আপনাদের সম্ভবত এই শিশুটির কথা মনে আছে। ভূমিকম্পের ১২৮ ঘণ্টা পর ভবনের ধ্বংসস্তুপ থেকে  জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল তাকে। এতদিন আমরা জানতাম ভয়াবহ সেই ভূমিকম্পে তার মা মারা গেছে।’

‘কিন্তু এবার তার মায়ের সন্ধান পাওয়া গেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। ওই নারীই যে শিশুটির মা— তা নিশ্চিত করা হয়েছে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে। (ভূমিকম্পের) ৫৪ দিন পর একত্রিত হচ্ছে মা ও শিশু।’

আন্তন গ্রাশচেঙ্কো টুইটটি শেয়ারের পর তা অল্প সময়ের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়। টুইটার ব্যবহারকারীদের অনেকেই এ ঘটনাকে ‘অলৌকিক’ বলে উল্লেখ করেন। কমেন্ট সেকশনে এক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘খবরটা জেনে খুব খুশি হলাম। খবরটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’

আরেকজন লেখেন, ‘এই অসাধারণ সংবাদটি আমার আজকের দিন বদলে দিয়েছে।’

তৃতীয় জন লেখেন, ‘ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, যিনি সকল দুঃখ থেকে মানুষকে পরিত্রাণ করেন।’

গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও পার্শ্ববর্তী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এক ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়। এতে তুরস্কে নিহত হয়েছেন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এবং দেশটির ৬ হাজারেরও বেশি ভবন ধসে পড়েছে। ১৯৩৯ সালের পর ভূমিকম্পে এত বেশি প্রাণহানি এর আগে আর দেখেনি দেশটি।

এসএমডব্লিউ