সুদানে সামরিক সংঘাত: যাত্রীবাহী বিমানে হামলা
ফাইল ছবি
আফ্রিকার দেশ সুদানে সেনাবাহিনী এবং প্যারামিলিটারি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) মধ্যে শনিবার (১৫ এপ্রিল) তুমুল সংঘর্ষ বেধে যায়। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, এ সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, দুই বাহিনীর মধ্যে প্রচণ্ড গোলাগুলি হয়েছে। এরমধ্যে একটি গোলা রাজধানী খারতুমের বিমানবন্দরে দাঁড়ানো যাত্রীবাহী বিমানে আঘাত করে। এতে অন্তত দুইজন নিহত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার পর খারতুম বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ হয়ে যায়।
বিবিসি আরও জানিয়েছে, যেসব বিমান সুদানের আকাশসীমার ভেতর প্রবেশ করেছিল সেগুলো আবার মাঝ আকাশ থেকেই ফিরে যাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
শনিবার ক্ষমতার দ্বন্দ্ব নিয়ে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন অবকাঠামোতে হামলা চালায় প্যারামিলিটারি আরএসএফ। এরপর সেনাবাহিনীও প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সেনাবাহিনী ছাড়াও আরএসএফকে দমাতে মাঠে নেমেছে দেশটির বিমানবাহিনী। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিমানবাহিনী এখন আরএসএফের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে।
এদিকে ২০২১ সালে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সুদানের সেনাবাহিনী। এরপর থেকে সেনাবাহিনীর জেনারেলরা ‘স্বাধীন কাউন্সিলের’ নামে দেশ চালাচ্ছিলেন।
এই স্বাধীন কাউন্সিলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হলেন প্যারামিলিটারি আরএসএফ প্রধান জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালো। অপরদিকে স্বাধীন কাউন্সিলের প্রধান হলেন সেনাপ্রধান জেনারেল আব্দেল ফাতাহ আল-বুরহান।
বেসামরিক সরকার গঠনের অংশ হিসেবে আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করার একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়েই সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। সেনাবাহিনী বলছ, আরএসএফকে দুই বছরের মধ্যে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করা হবে। কিন্তু আরএসএফ বলছে এই একীভূত করণের প্রক্রিয়া যেন অন্তত ১০ বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়।
সূত্র: বিবিসি
এমটিআই