সুদানে ৩ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত দুই বাহিনী
সংঘাতপূর্ণ সুদানে ৩ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে সেনাবাহিনী ও প্যারামিলিটারি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন নিশ্চিত করেছেন, সোমবার (২৪ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে এ যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর আগে আরও অন্তত দুইবার যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছিল দুই বাহিনী। তবে কোনো পক্ষই এটি শেষ পর্যন্ত মানেনি।
বিজ্ঞাপন
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ৪৮ ঘণ্টা আলোচনার পর সেনাবাহিনী ও আরএসএফ যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে সম্মত হয়।
গত ১৫ এপ্রিল হঠাৎ করে সেনাবাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরু করে আরএসএফ। এরপর তাদের ওপরও পাল্টা হামলা চালায় সেনাবাহিনী। দুই বাহিনীর এ সংঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪০০ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। অপরদিকে সংঘাত থেকে বাঁচতে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে পালিয়ে গেছেন হাজার হাজার মানুষ।
বিজ্ঞাপন
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সুদানে চলমান সংঘাত ‘বিপর্যয়কর পরিস্থিতি’ সৃষ্টি করছে, যা এ অঞ্চলে এবং এর বাইরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সংঘাত শুরুর পর রাজধানী খারতুমের বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আর এ কারণে খাদ্যসহ অন্যান্য পণ্যের সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় এখন সাধারণ মানুষ খাদ্য সংকটের শঙ্কায় পড়েছে।
আরএসএফের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালাতে গিয়ে পানি সরবরাহের পাইপসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর বোমা বর্ষণ করেছে দেশটির বিমানবাহিনী। এরফলে এখন অনেককে বাধ্য হয়ে নীল নদের পানি পান করতে হচ্ছে।
নতুন করে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়ায় সাধারণ মানুষ আশা করছেন তারা রাজধানী খারতুম ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে পারবেন। অপরদিকে বিদেশি দেশগুলো আশা করছে নিজ নাগরিকদের নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে নিতে পারবে তারা।
দুই বাহিনীর মধ্যে প্রচণ্ড গোলাগুলি হওয়ায় অনেক দেশ দূতাবাস বন্ধ করে কূটনীতিকদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে এতেও বেগ পেতে হচ্ছে। অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে দুস্কৃতকারীরা বিদেশিদের বহরে লুটপাট চালানোর চেষ্টা করেছে বলেও জানা গেছে।
সূত্র: বিবিসি
এমটিআই