বিতর্কিত কাশ্মীরে সীমানা বিভাজনকারী রেখা লাইন অব কন্ট্রোলে ভারত-পাকিস্তান ২০০৩ সালের অস্ত্রবিরতি চুক্তি মেনে চলার বিষয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তাতে মধ্যস্থতাকারী ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত।

ভারত-পাক শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতা করতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লি সফর করেন আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ। এরপর ফেব্রুয়ারির শেষে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাপ্রধান যৌথ ঘোষণা দিয়ে জানান যে, ২০০৩ সালের অস্ত্রবিরতি চুক্তি মেনে চলবে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ।

ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম সূত্রের বরাতে সোমবারের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওই সফরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ভারত-পাকিস্তান শান্তি আলোচনা নিয়েই কথা হয়েছিল আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।

যদিও আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তখন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, ‘আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দুই দেশের যৌথ স্বার্থ রয়েছে, এমন সব বিষয়েই সদর্থক আলোচনা হয়েছে।’ এবার আমিরাতের মধ্যস্থতার খবর সামনে আসার পর মনে করা হচ্ছে, জায়েদের ওই বিবৃতির মধ্যেই পাক-ভারত নিয়ে আলোচনার ইঙ্গিত ছিল।

ভারত ও পাকিস্তান অস্ত্রবিরতি চুক্তি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিলে তখন বিষয়টি নিয়ে ভারত, পাকিস্তান কিংবা আমিরাত— কোনো দেশের পক্ষ থেকেই অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। 

তবে বৈঠক সম্পর্কে ওয়াকিবহাল একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, ‘অস্ত্রবিরতি চুক্তি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি ভারতীয় উপমহাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে প্রথম ধাপ মাত্র।’

২০১৯ সালে মোদি নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নিয়ে রাজ্যটিকে দিখণ্ডিত করে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণার পর নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ সংঘাত শুরু হলে উভয় দেশ রাষ্ট্রদূত দেশে ফিরিয়ে আনে। এখনও ইসলামাবাদে ভারতীয় বা নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানের কূটনীতিবিদ নেই।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সূত্রের বরাতে ভারতীয় ওই গণমাধ্যম আরও জানিয়েছে, চিরবৈরী দেশ দুটির মধ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আবারও এই কূটনীতিকদের ফের দুই দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এএস