ছবি- ওয়েস্টার্ন নিউজ

বাংলাদেশের সেন্টমার্টিনে তাণ্ডব চালানোর পর শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হেনেছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে। মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাউ জানিয়েছে, রোববার (১৪ মে) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের পর রাখাইনের রাজধানী সিট্যুয়েতে ঘূর্ণিঝড়টি প্রবেশ করে।

ওই সময় তীব্র বাতাসে একটি বড় মোবাইল টাওয়ার ভেঙে পড়ে। যার কারণে রাজ্যের কিছু কিছু জায়গায় মোবাইল সেবা ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া কিছু নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

রাখাইনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ওয়েস্টার্ন নিউজের বরাতে মিয়ানমার নাউ দুপুর ৩টার সময় জানায়, সিট্যুয়েতে বন্যার পানি ঢোকার পর সেখানকার কিছু মানুষ সাহায্যের আকুতি জানিয়েছেন।

স্থানীয় উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, তারা আশঙ্কা করছেন প্রচণ্ড ঝোড়ো বাতাস এবং বন্যার কারণে ঘর-বাড়িসহ অন্যান্য অবকাঠামো বড় ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হবে।

অপরদিকে মিয়ানমারের আবহাওয়ার দপ্তর সর্বশেষ তথ্যে জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাখাইনের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে। এছাড়া ঝড়ের কারণে ২০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হতে পারে।

সকালের দিকে যখন ঘূর্ণিঝড়টি প্রথম রাখাইনে প্রবেশ করে তখনই সেখানে ভারীবৃষ্টিপাতসহ প্রচণ্ড ঝোড়ো বাতাস শুরু হয়। ওই সময় বেশ কয়েকটি টিনের ঘরের চালা উড়ে যায়। এছাড়া বাতাসের তীব্রতার কারণে বাড়ি-ঘরগুলো কাঁপতে থাকে।

ঝড়ের তীব্রতা আন্দাজ করতে পেরে রাখাইনে কয়েকদিন ধরেই সাধারণ মানুষদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছিল। দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ঝড় আঘাত হানার আগেই উপকূলীয় এলাকা থেকে কমপক্ষে ১ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সূত্র: মিয়ানমার নাউ

এমটিআই