দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ডের সাজার বিরুদ্ধে করা আপিলে হেরে গেছেন ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি। দেশটির আপিল আদালত দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মামলায় তার তিন বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছে।

তবে দেশটির সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে কারাগারে পাঠানো হবে না। নিজ বাসাতেই থাকতে পারবেন তিনি। কিন্তু ফ্রান্সে বন্দিদের ওপর নজরদারির জন্য ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ট্যাগ সারকোজির হাতে পরানো হবে। অন্য দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মতো এই ট্যাগ এক বছর পরে থাকতে হবে তাকে।

দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের এক মামলায় ২০২১ সালে ফরাসি এই প্রেসিডেন্টকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় দেশটির আদালত। এর মধ্যে তাকে দু’বছরের স্থগিত কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

নিকোলাস সারকোজির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়েছিল, ক্ষমতার মেয়াদ শেষে ২০১৪ সালের দিকে একটি আইনি তদন্ত সম্পর্কে গোপনে তথ্য বের করার জন্য প্রভাব খাটিয়েছিলেন সারকোজি। ওই সময় এক বিচারপতির সঙ্গে গোপন টেলিফোন লাইনে যোগোযোগ করেন তিনি।

পরে প্রভাব-খাটানো এবং পেশাগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অপরাধে তাকে অভিযুক্ত করা হয়। ফ্রান্সে ৬৮ বছর বয়সী সারকোজিই প্রথম কোনো সাবেক প্রেসিডেন্ট; যিনি দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন।

বুধবার আদালতের রায়ের পর সারকোজির আইনজীবী বলেছেন, তারা ফ্রান্সের সর্বোচ্চ আদালতে নতুন করে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করবেন। আইনজীবী জাকুলিন লাফঁ বলেন, নিকোলাস সারকোজি নির্দোষ। আমরা এই মামলার শেষ পর্যন্ত লড়ব।

ফ্রান্সে ২০০৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সারকোজি লিবিয়া সরকারের কাছে অবৈধভাবে তহবিল চেয়েছিলেন অভিযোগে চলতি মাসের শুরুর দিকে মামলা দায়েরের আবেদন করে কৌঁসুলিরা।

নিকোলাস সারকোজি ২০০৭ থেকে ২০১২ পর্যন্ত এক মেয়াদে ফ্রান্সের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তার শাসনামলে বিশ্বব্যাপী আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে ফ্রান্সের অর্থনীতি সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছিলেন এবং কড়া অভিবাসন নীতি চালু করেছিলেন মধ্য ডানপন্থী এই নেতা।

সূত্র: বিবিসি।

এসএস