ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে গেছেন।

সৌদির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আল-হেদাত জানিয়েছে, আরব লীগের সম্মেলনে বক্তব্য দিতে এসেছেন তিনি। শুক্রবার (১৯ মে) রাজধানী জেদ্দার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে তাকে বহনকারী বিমানটি অবতরণ করে।

বিমানবন্দরে নেমেই ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে জেলেনস্কি জানান, সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। এই বৈঠকে ইউক্রেনের শান্তি ফর্মুলা, ইউক্রেনে বসবাসরত মুসলিমদের অবস্থা এবং ক্রিমিয়ার জেলে থাকা রাজবন্দিদের নিয়ে প্রিন্স সালমানের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

এর আগে জানা গিয়েছিল, শনিবার (১৯ মে) জি-৭ জোটের সম্মেলনে অংশ নিতে জাপানে যাবেন জেলেনস্কি। কিন্তু তিনি যে সৌদিতে যাবেন এ নিয়ে কোনো ইঙ্গিতই পাওয়া যায়নি। 

গত বছর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাঁধার পর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছিল। তবে পশ্চিমা দেশগুলো মধ্যপ্রাচ্যের তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোকে চাপ দিয়েছিল তারা যেন রাশিয়াকে ‘একঘরে’ করে দিতে সহায়তা করে। তবে তারা এতে সাড়া দেয়নি।

অবশ্য গত বছর যুদ্ধ বাঁধার পর তেলের দাম কমে গেলে রাশিয়ার ইঙ্গিতে সৌদি আরবসহ ওপেক+ জোটভুক্ত দেশগুলো তেল উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে, সৌদি রাশিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। এমন সমালোচনার মধ্যে দেশটি ইউক্রেনকে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের মানবিক সহায়তা দিতে সম্মত হয়।

সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এর আগে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে মধ্যস্থতার কাজ করেছেন। তার হস্তক্ষেপে গত বছর রাশিয়া তাদের কাছে থাকা ১০ বিদেশি যুদ্ধবন্দিকে ছেড়ে দেয়।

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশ হওয়ায়, যুদ্ধের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার কাছে গুরুত্বপূর্ণ দেশে পরিণত হয় সৌদি।

সূত্র: আল জাজিরা, দ্য গার্ডিয়ান

এমটিআই