যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, যদি কোনো মিত্র দেশ ইউক্রেনকে এফ-১৬ সহ কোনো যুদ্ধবিমান দিতে চায় তাহলে তারা এতে কোনো বাধা দেবে না। যা ইউক্রেনীয়দের জন্য বড় একটি খবর।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানিয়েছেন, শুক্রবার (১৯ মে) জাপানে ‘জি-৭ জোটের মিত্রদের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন’ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

এছাড়া ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনীর পাইলটদের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চালানোর প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ইউক্রেন এ বছরের জানুয়ারি থেকে মিত্রদের কাছে যুদ্ধবিমান চেয়ে আসছে। অনেক চেষ্টার পর সেই প্রতিশ্রুতি তারা পেয়েছে।

মার্কিনিদের এ সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত’ হিসেবে অভিহিত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

এদিকে যেসব দেশের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানসহ অন্যান্য অস্ত্র আছে— যেসব দেশ মার্কিনিদের অনুমতি ছাড়া এগুলো বিক্রি বা তৃতীয় কোনো দেশে পাঠাতে পারে না।  মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এফ-১৬ বিমান দেওয়ার সম্মতি দেওয়ায় এখন কোনো দেশ চাইলেই কিয়েভকে এটি দিতে পারবে।

অবশ্য ইউক্রেন যে এখনই যুদ্ধবিমান পেয়ে যাবে বিষয়টি এমনও নয়। কারণ কোনো দেশ এখনো ইউক্রেনকে এফ-১৬ বা অন্য বিমান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়নি।

যুক্তরাষ্ট্র এবং মিত্রদেশগুলো এখন পর্যন্ত ইউক্রেনকে প্রয়োজনীয় অস্ত্র এবং প্রশিক্ষণ দিয়েছে। জাপানের হিরোশিমায় অবস্থানরত জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক জ্যাক সুলিভান জানিয়েছেন, ইউক্রেনের কাছে তারা যে বিষয়ে প্রতিশ্রুতবদ্ধ সেটির অংশ হিসেবেই যুদ্ধবিমান দেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছেন তারা।

কবে কখন এবং কতগুলো যুদ্ধবিমান দেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে সুলিভান বলেছেন, ‘আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রশিক্ষণ শুরু হবে। আমরা মিত্রদের সঙ্গে কাজ করব কখন বিমান দেওয়া হবে, কে বিমানগুলো দেবে এবং কতগুলো দেওয়া হবে।’

ন্যাটোভুক্ত কয়েকটি দেশ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেওয়ার বিষয়টি যুদ্ধ আরও বাড়াবে এবং এতে করে রাশিয়ার সঙ্গে তাদের সরাসরি দ্বন্দ্ব লেগে যেতে পারে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারাই সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছিলেন, যুদ্ধবিমান রাতারাতি যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেবে এমনটা মনে হয় না তাদের। বর্তমানে ইউক্রেনে অনেক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে এবং রাশিয়ার বৃহৎ বিমানবাহিনী এখনো আকাশে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করতে পারেনি।

গত ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, আপাতত ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।

সূত্র: বিবিসি

এমটিআই