ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, বাখমুত শহরকে ধ্বংস করে দিয়েছে রাশিয়া। তবে তিনি দাবি করেছেন, রুশ বাহিনী এখনো বাখমুতের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেননি।

রোববার (২১ মে) জাপানের জি-৭ সম্মেলনে জেলেনস্কিকে প্রশ্ন করা হয় ইউক্রেনের সেনাদের হাতে কি বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি নেই।’

এতে মনে হয়েছিল, ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট স্বীকার করেছেন রুশ সেনাদের হাতে বাখমুতের পতন হয়েছে।

তবে কিছুক্ষণ বাদেই প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির উপদেষ্টা সের্গেই নাইকোফোরভ দাবি করেন, জেলেনস্কি ‘আমি মনে করি নেই’ এ কথার মাধ্যমে জানিয়েছেন, রাশিয়ার হাতে বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ নেই। প্রেসিডেন্টের বক্তব্য নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিসহ সব আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, জেলেনস্কি স্বীকার করেছেন রুশ বাহিনীর হাতে বাখমুতের পতন হয়েছে। তবে পরবর্তীতে সংবাদমাধ্যমগুলো ভিন্ন খবর জানায়।

রুশ বাহিনী বাখমুত শহরকে পুরোপুরি একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে এমন মন্তব্য করে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘তারা সব ধ্বংস করে দিয়েছে। আপনাকে বুঝতে হবে। আজ থেকে বাখমুত আমাদের অন্তরে থাকবে। সেখানে কিছুই নেই।’

আরও পড়ুন>>>রাশিয়ার দখলে বাখমুত, সৈন্যদের পুরস্কারের ঘোষণা পুতিনের

এদিকে এর আগে গতকাল শনিবার রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রপের প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন জানান, তারা সেনারা দোনেৎস্কের বাখমুত শহর পুরোপুরি দখল করেছে— যদিও ইউক্রেনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এটি অস্বীকার করা হয়।

পশ্চিমা যুদ্ধ বিশ্লেষকরা বলেছেন, চলমান যুদ্ধে বাখমুতের কৌশলগত কোনো মূল্য নেই। তবুও রাশিয়ার সেনারা এ শহরে তাদের সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করেছে। কারণ তারা একটি ‘প্রতীকী’ জয় চেয়েছিল।

ইউক্রেনে গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি হামলা করার পর গত ৭-৮ মাসে দেশটিতে বড় কোনো সামরিক সাফল্য পায়নি রাশিয়া। এ কারণে সাধারণ মানুষকে দেখানোর জন্য তাদের একটি জয়ের প্রয়োজন ছিল। বিশ্লেষকরা দাবি করেছেন, যা এই বাখমুতের মাধ্যমেই অর্জন করেছে করেছে রুশ বাহিনী।

পশ্চিমা কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, বাখমুতের লড়াইয়ে রাশিয়ার ২০ থেকে ৩০ হাজার সেনা আহত বা নিহত হয়েছেন। অপরদিকে রুশ বাহিনীকে আটকাতে গিয়ে ইউক্রেনের সেনারও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স

এমটিআই