চীনে আগামী জুন মাসে আবারও বাড়তে পারে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। আর এমন তথ্য প্রকাশের পর—  গত ২৪ মে শেয়ার বাজারে দেশটির ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জুনে প্রতি সপ্তাহে চীনে ৬ কোটি ৫০ লাখ মানুষ প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন।

দেশটির অন্যতম বড় ওষুধ প্রতিষ্ঠান কিনটোর ফার্মার শেয়ারের মূল্য এদিন ৬ দশমিক ৭ শতাংশ, ক্যানসিনো বায়োলোজিকসের শেয়ারের মূল্য ৪ দশমিক ৪ শতাংশ, শানডং শিনহুয়া ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার ৬ দশমিক ১ শতাংশ এবং সাংহাই জুনসি বায়োসাইন্সের শেয়ারের মূল্য ৩ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

এছাড়া ক্লোভার বায়োফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং সাংহাই ফোসোন ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার ১ দশমিক ১৫ শতাংশ বাড়তে দেখা যায়।

চীনের অন্যতম বড় করোনা বিশেষজ্ঞ ঝং নানসেন কয়েকদিন আগে ধারণা করে বলেন, জুন থেকে প্রতি সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ ৪ কোটি থেকে বেড়ে ৬ কোটি ৫০ লাখে  পৌঁছাতে পারে। তার এমন তথ্যের পরই ওষুধ প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারে বড় লাফ দেখা যায়। এর আগে সেটি নিম্নমুখী ছিল।

সাসসেপটিবল-এক্সপোসড ইনফেকসাস-রিকভার্ড মডেলের ওপর ভিত্তি করে হিসাব-নিকাষ করে জং বলেছেন, ‘কয়েকদিন পর সংক্রমণের যে ঢেউ দেখা যাবে সেটি এড়ানো খুবই কঠিন হবে।’

এদিকে সাধারণ মানুষের আন্দোলনের মুখে গত বছরের ডিসেম্বরে চীন জিরো করোনা নীতি প্রত্যাহার করে নেয়। বর্তমানে দেশটিতে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাব দেখা যাচ্ছে। ওমিক্রনে আক্রান্ত একজনের মাধ্যমে ৩০ জন পর্যন্ত সংক্রমিত হতে পারেন।

নতুন ধরন মোকাবিলায় চীনে ইতোমধ্যে দুটি নতুন ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও চারটি ভ্যাকসিন অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

সূত্র: দ্য স্ট্যান্ডার্ড

এমটিআই