কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধীকে ৩ বছরের জন্য সাধারণ পাসপোর্ট গ্রহণের অনুমতি দিয়েছেন দিল্লির একটি আদালত। শুক্রবার দিল্লির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বৈভব মেহতা এক আদেশে এই অনুমতি দেন বলে জানিয়েছে বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

মানহানির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীকে লোকসভায় অযোগ্য ঘোষণা এবং তার পার্লামেন্ট সদস্যপদ খারিজ হওয়ার পর আদালত তাকে এই পাসপোর্ট মঞ্জুর করলেন আদালত।

২০১৮ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশে নিজের আসন আমেথি এবং কেরালার ওয়ানাড়ে দাঁড়িয়েছিলেন রাহুল। পরে আমেথিতে পরাজিত হলেও ওয়ানাড়ে জয়ী হয়ে পার্লামেন্টে নিজের আসন ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে দায়ের হওয়া এক মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে চলতি বছরের ২৪ মার্চ গুজরাটের একটি নিম্ন আদালতের আদেশে লোকসভার সদস্যপদ হারান রাহুল। সদস্যপদ হারানোর পরপরই অবশ্য নিজের কূটনৈতিক পাসপোর্ট জমা দিয়েছিলেন তিনি।

পরে রাহুল ১০ বছরের জন্য সাধারণ পাসপোর্ট চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। শুক্রবার সেই আবেদনের শুনানিতে বিচারক বৈভব মেহতা রাহুলের আইনজীবীকে বলেন, ‘আমি আপনার আবেদন আংশিক অনুমোদন করছি। (পাসপোর্ট) ১০ বছরের জন্য নয়, তিন বছরের জন্য।’

রাহুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলার কারণে আদালতের ছাড়পত্র ছাড়া তার পাসপোর্ট পাওয়ার পথ নেই।

ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতা সুব্রহ্মনিয়াম স্বামী অর্থ পাচার ও নয়ছয়ের অভিযোগে (ন্যাশনাল হেরাল্ড) রাহুল ও তার মা সোনিয়া গান্ধীসহ কংগ্রেসের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। সে মামলায় রাহুল ও অন্যান্যরা জামিনে রয়েছেন।

এরই মধ্যে নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে চারবছর আগে করা মানহানির মামলায় গুজরাটে সুরাটের নিম্ন আদালত রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে দুই বছরের জেল দেয়। রাহুলের লোকসভা সদস্য পদও খারিজ হয়।

পাসপোর্ট পেয়ে গেলে চলতি মাসের শেষে রাহুল যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন। সেখানে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ভাষণ দেওয়ার কথা।

এর আগে রাহুল পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার পর তা বাতিলের আর্জি জানিয়ছিলেন সুব্রহ্মনিয়াম স্বামী। কিন্তু আদালত সেই আর্জি খারিজ করে দিয়ে জানিয়েছিলেন, রাহুলকে জামিন দেওয়ার সময় আদালত তার চলাফেরাও ওপর কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেননি। নাগরিকদের অবাধ যাতায়াত মৌলিক অধিকার।

এসএমডব্লিউ