একটার পর একটা শৃঙ্গ জয় করে চলেছে অস্কার বারো। বয়স মাত্র ৬ বছর। এই বয়সেই যুক্তরাজ্যের ১২টি উচ্চ শৃঙ্গ জয় করেছে সে। যাদের উচ্চতা যোগ করলে পৃথিবীর উচ্চতম শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের সমান হয়। এই শৃঙ্গজয়ের মাধ্যমেই সংগ্রহ করছে অনুদান, যা সে দেবে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে।

অস্কার যুক্তরাজ্যের ল্যাঙ্কাস্টারের বাসিন্দা। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসের উচ্চতম শৃঙ্গ স্কাফেল পাইক ও স্নোডনও জয় করেছে সে। ইতোমধ্যে ৩১ হাজার পাউন্ড অনুদান সংগ্রহ করেছে অস্কার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ৪১ লাখ টকার বেশি। এই অনুদান ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছে অস্কার। যাতে বাচ্চারা বেড়াতে যেতে পারে।

তবে অস্কারের এতে মন ভরেনি। তার লক্ষ্য, সবচেয়ে কম বয়সে মাউন্ট এভারেস্ট জয় করা। নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়েছে বাবা ম্যাটকে।

ম্যাট জানিয়েছেন, স্কুলে এডমন্ড হিলারির কথা পড়েছিল অস্কার। হিলারিই তার অনুপ্রেরণা অস্কারের।

পর্বতারোহণে অস্কারের সঙ্গী বেশির ভাগ সময় বাবা ম্যাট। কখনো মা কিম ও দাদা মার্কও সঙ্গ দেন। কিমের বস ৩৭। মার্কের বয়স ৬৭ বছর।

সব অভিযান যদিও সহজ হয় না, সে কথা নিজেই জানিয়েছে অস্কার। তার কাছে সব থেকে কঠিন মনে হয়েছে স্কটল্যান্ডের কেয়ার্ন গর্ম অভিযান। 

অস্কারের মতে, পুরু বরফের কারণেই অভিযান ছিল কঠিন। তা বলে থামতে চায় না সে। কারণ সব থেকে বড় লক্ষ্যপূরণই বাকি। সব থেকে কম বয়সে এভারেস্ট জয়ের কৃতিত্ব নিজের পকেটে পুরতে চায় সে।

ওএফ