ছবি : ডয়েচে ভেলে

আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অর্থ সংগ্রহের নেটওয়ার্ক ভাঙতে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে জার্মানির পুলিশ। ৪টি রাজ্যে চালানো সাম্প্রতিক এই অভিযানে সাতজনকে গ্রেপ্তারও করেছে জার্মান পুলিশ।

জার্মানির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শহর কার্লসরুহের তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য পুলিশের এক হাজারেরও বেশি সদস্য সম্প্রতি কয়েকটি রাজ্যে অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে যে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা সবার বিরুদ্ধে আইএসের জন্য অর্থ সংগ্রহ ও বিভিন্ন মাধ্যমে তা সিরিয়ায় পাঠানোর আলামত পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃত সাতজনের চারজনের বাড়ি জার্মানির নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যে। এছাড়া একজন করে বাডেন-ভ্যুর্টেমব্যর্গ, রাইনল্যান্ড-পালাটিনেট ও ব্রেমেন— এই তিনটি রাজ্য থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন একজন করে।

গ্রেপ্তাররা সবাই জার্মান নাগরিক এবং পুরুষ ও নারী উভয়েই আছেন তাদের মধ্যে ৷ প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, গ্রেপ্তার ৭ জনই একটি গোপন আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই নেটওয়ার্ক থেকে সিরিয়ায় আইএস’র মূল শাখার ঠিকানায় অর্থের যোগান দেওয়া হতো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামের মাধ্যমে এই ৭ জন পরস্পর ও সেই গোপন আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন।  

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে৷ তারা সবাই একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের সদস্য৷ এই নেটওয়ার্ক আইএস সিরিয়াকে অর্থ যোগান দিত৷ টেলিগ্রামের মাধ্যমে এরা যোগাযোগ রাখতেন৷

পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ক্যাম্পে আপনারই বোন'—ধরনের শিরোনাম ব্যবহার করে গত কয়েক বছর ধরে অর্থ যোগাড় করছে এই গোপন আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক এবং এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে গত কয়েক বছরে কমপক্ষে ৬৫ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৪ লাখ টাকা) সিরিয়া পাচার করেছেন গ্রেপ্তার ৭ জন।

গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে বলে আশা করছে জার্মান পলিশ।

জার্মানির দণ্ডবিধি অনুযায়ী, ২০১৪ সাল থেকে কোন জার্মান নাগরিক, জার্মানিতে বসবাসকারী বা অবস্থানরত ব্যক্তি যদি আইএস এর সদস্য বা সমর্থনকারী হন তাহলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে এবং তিনি আইনের মুখোমুখি হবেন।

এসএমডব্লিউ