ভারতের গত কয়েক বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এই ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৭০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত বাংলাদেশিদের দেখতে রাজ্যের সোরো হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব শেখ মারেফাত আলী ইসলাম। ওড়িশার বালাশোর জেলায় তিন ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত বাংলাদেশিদের দেখতে রোববার ওই হাসপাতালে যান তিনি।

দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআইকে শেখ মারেফাত আলী ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশি যাত্রীরা ওড়িশার বিভিন্ন হাসপাতালে সুস্থ হয়ে উঠছেন। তবে দুর্ঘটনায় কোনো বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেছেন, ভাদরক হাসপাতালে বাংলাদেশি এক যাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্য এক যাত্রীকে কটকের এসসিবি মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে। শনিবার আমি বালাসোর হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি।

দুর্ঘটনায় কোনও বাংলাদেশি যাত্রীর আহত হওয়ার তথ্য থাকলে তা কলকাতার ৯০৩৮৩৫৩৫৩৩ নম্বরে জানাতে বলেছেন মারেফাত। তিনি বলেন, ভূবনেশ্বরের কয়েকটি হাসপাতালে কয়েকজনের মরদেহ পড়ে আছে। এসব মরদেহের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তাদের মধ্যে কোনও বাংলাদেশি আছেন কি না, আমরা তা খুঁজে দেখব।

রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহত বাংলাদেশিদের শনাক্তের কাজে সহায়তা করায় ওড়িশার সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

প্রত্যেক বছর প্রায় ২০ লাখ বাংলাদেশি ভারতে যান। তাদের বেশিরভাগই যান দেশটিতে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। আর এই বাংলাদেশিদের মধ্যে অনেকের পছন্দের চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় বিভিন্ন রাজ্যে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শালিমার-চেন্নাই করমন্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেসের সাথে একটি মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। ভারতের গত কয়েক বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এই ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৭০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

দেশটির তদন্তকারী কর্মকর্তারা তিন ট্রেনের দুর্ঘটনার পেছনে সংকেতে বিভ্রাট ও অন্যান্য সম্ভাব্য বিভিন্ন কারণ খতিয়ে দেখছেন।

সূত্র: পিটিআই।

এসএস