বিশ্বের ব্যয়বহুল শহরের সূচকে গত ২০২২ সালের তুলনায় চলতি বছর ৫৬ ধাপ পিছিয়েছে ঢাকা। বিভিন্ন শহরের বসবাস ব্যয়ের ওপর মার্কিন কনসাল্টিং ও জরিপকারী সংস্থা মার্সারের এ বিষয়ক সর্বশেষ তালিকা ঘেঁটে জানা গেছে এই তথ্য।

বিশ্বের ৫টি মহাদেশের ২২৭টি শহরের আবাসন, পরিবহন, খাদ্য, বস্ত্র, বিনোদন ও গৃহস্থালী জিনিসপত্রের দামসহ ২০০টি বিষয় বা সূচকের ব্যয়ের তারতম্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতি বছরই এই তালিকা প্রকাশ করে মার্সার।

জীবনধারণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ব্যাপারগুলোর পাশাপাশি যে ২০০টি সূচককে মার্সার প্রাধান্য দেয় সেসবের মধ্যে সিনেমা দেখার টিকিটের দামের পার্থক্য, এক কাপ চা ও কফির দাম, এক লিটার বোতলজাত পানি, পেট্রল ও দুধের দামের মতো ব্যাপারগুলোও রয়েছে। প্রতিটি পণ্যের মূল্য মার্কিন ডলারের বিপরীতে একটি শহরে প্রচলিত মুদ্রার ওঠা-নামার সঙ্গে তুলনা করে নির্ধারণ করা হয়।

এসব সূচকের ওপর ভিত্তি করে এক বছরে তালিকাভুক্ত শহরগুলোতে বসবাসের ব্যয় কতখানি বৃদ্ধি পেল বা কমলো— তার ওপর নির্ভর করে সূচকের ওপরে বা নিচে অবস্থান নেয় এই ২২৭টি দেশ।

২০২২ সালে মার্কারের ব্যয়বহুল শহরের সূচকে ঢাকা ছিল ৯৮ তম অবস্থানে। চলতি ২০২৩ সালে মার্কারের সূচকে বাংলাদেশের এই রাজধানী শহরের অবস্থান ১৫৪ তম। অর্থাৎ জীবনযাত্রার ব্যয় হ্রাস পেয়েছে ঢাকা শহরে; আর তার ফলেই ৫৬ ধাপ অবনমন ঘটেছে বাংলাদেশের।

তবে ব্যয় হ্রাস পেলেও ঢাকা জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন ঘটেছে— এ কথা বলার উপায় নেই। কারণ যেসব শহরে জীবনযাত্রার ব্যয় কম, কিন্তু পণ্য ও পরিষেবার মান উন্নত— সেই তালিকায় ঢাকার নাম নেই।

মার্সারের চলতি বছরের সূচকে ২২৭টি শহরের মধ্যে শীর্ষ ব্যয়বহুল শহরের স্বীকৃতি পেয়েছে হংকং। তারপরেই আছে সিঙ্গাপুরের নাম। তালিকার বাকি ৮টি শহর হলো যথাক্রমে জুরিখ (সুইজারল্যান্ড), জেনেভা (সুইজারল্যান্ড), বাসিল (সুইজারল্যান্ড), নিউইয়র্ক সিটি (যুক্তরাষ্ট্র), বার্ন (সুইজারল্যান্ড), তেল আবিব (ইসরায়েল), কোপেনহেগেন (ডেনমার্ক) এবং নাসউ (বাহামা)।

এখানে লক্ষ্যনীয়— মার্সারের সূচকে চলতি বছরের শীর্ষ ১০ ব্যয়বহুল শহরের মধ্যে এশীয় শহর রয়েছে মাত্র দু’টি। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৪টি।

এসএমডব্লিউ