২ জুন, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা। ওড়িশার বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইমুখী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। সময় যত গেছে, ততই বেড়েছে দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহতের সংখ্যা। মঙ্গলবার (৬ জুন) পর্যন্ত মারা যাওয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৮ জনে। 

দুর্ঘটনার ৫ দিনের মাথায় ভারতীয় রেল জানাল আবার চলবে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। প্রায় ১১৬ ঘণ্টা পর, বুধবার (৭ জুন) দুপুর ৩টা ২০ মিনিটে শালিমার থেকে ছাড়বে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। আবার সেই একই পথেই ছুটবে রেল। বালেশ্বরের অদূরে বাহানগার দুর্ঘটনাস্থল পেরোবে সেই একই সময়ে।

মঙ্গলবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা আদিত্য চৌধুরি জানিয়েছেন, রেলপথ সারানোর কাজ হয়ে গেছে। আগের রুট ধরেই এগিয়ে যাবে করমণ্ডল এক্সপ্রেস।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালেই হাওড়ার শালিমার স্টেশনে পৌঁছেছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। শুক্রবার দুর্ঘটনার পরপরই শুরু হয়েছিল উদ্ধারকাজ। একই সঙ্গে শনিবার থেকে চলছিল রেললাইন উদ্ধারের কাজ। কারণ ওই গুরুত্বপূর্ণ রুটে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল করে। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমে একটি মালগাড়ি ট্রেন চালানো হয় সংশ্লিষ্ট লাইনে। রোববার সময় তখন রাত ১০টা ৪০ মিনিট। প্রায় এক ঘণ্টা পর রাত ১১টা ৩৯ মিনিটে চালানো হয় আরও একটি মালগাড়ি। তবে আপ লাইনে প্রথম ট্রেনটি চালানো হয় রোববার রাত ১২টা ৫ মিনিটে। সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

এরইমধ্যে সংশ্লিষ্ট রেলপথে ছুটে গেছে একাধিক ট্রেন। সোমবার গেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। তারপরে আপ লাইন দিয়ে চালানো হয়েছে ফলকনুমা এক্সপ্রেসও। সোমবারই ওই লাইন দিয়ে ৪০টির বেশি ট্রেন চলাচল করেছে। কিন্তু বালেশ্বরের কাছে ট্রেনের গতি ছিল কম। যেহেতু সদ্য রেলপথ মেরামত হয়েছে, তাই ওই জায়গা দিয়ে যাওয়ার সময় ট্রেনগুলোর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার। তারপর মঙ্গলবার আবার বেশ কিছু ট্রেন বাতিল হয়ে যায়। বুধবারও বাতিল হয়েছে ট্রেন।

এদিকে সিবিআইয়ের হাতে করমণ্ডল ট্রেন দুর্ঘটনার মামলা হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পরে কেন্দ্রের কাছে সিবিআই তদন্তের জন্য সুপারিশ করে রেল বোর্ডই। সেই অনুযায়ী, মঙ্গলবার ১০ সদস্যের সিবিআইয়ের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। সরেজমিনে দুর্ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখার পর বেশ কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে একটি এফআইআরও দায়ের করেছে তারা।

সূত্র : আনন্দবাজার

জেডএস