পাকিস্তানে আবারও কমেছে স্বর্ণের দাম। চলতি জুন মাসেই এই নিয়ে তিনবার স্বর্ণের দাম কমলো অর্থনৈতিক সংকটে টালমাটাল এই দেশটিতে।

পাকিস্তানের অলঙ্কার ও রত্নব্যবসায়ীদের সংগঠন অল পাকিস্তান সারাফা জেমস অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এপিএসজিজেএ) বিবৃতির বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, বুধবার পাকিস্তানে প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬ গ্রাম) স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ২ লাখ ২৭ হাজার ৩০০ রুপিতে আর প্রতি ১০ গ্রাম স্বর্ণ (গিনি স্বর্ণ) বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭৩ রুপিতে।

এর আগে সোমবার পাকিস্তানে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার রুপি কমে হয়েছিল ২ লাখ ৩০ হাজার ৪০০ রুপি; আর ২৪ ক্যারেটের প্রতি ১০ গ্রাম স্বর্ণের (গিনি) দাম ৮৫৭ রুপি হ্রাস পেয়ে হয়েছিল ১ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩১ টাকা।

এর আগে গত ১ জুন, বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে কমেছিল স্বর্ণের দাম। ওই দিন প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৫ হাজার ৪০০ রুপি এবং ২৪ ক্যারেটের ১০ গ্রাম স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৬২৯ রুপি হ্রাস পেয়েছিল।

 মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে স্বর্ণের এই পরিমাণ মূল্যহ্রাস এর আগে ঘটেনি পাকিস্তানে। সেই হিসেবে এটি একটি রেকর্ড।

আর্থিক অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির জেরে ডলারের মজুত তলানিতে নেমে যাওয়ায় গত বছরের শেষ দিক থেকে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে পাকিস্তান। প্রয়োজন অনুযায়ী ডলারের মজুত না থাকায় ব্যাপক মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে দেশটিতে এবং গম, ডিম, আটা-ময়দা, ওষুধ, জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম দিন দিন অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে পাকিস্তানে। এই সংকটকে আরও ঘনীভূত করে তুলছে রাজনৈতিক অস্থিরতা।

জাতীয় অর্থনীতিতে পাথরের মতো চেপে বসা এই চাপ সামাল দিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঋণদাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ১১০ কোটি ডলার জরুরি ঋণ (বেইল আউট) চেয়েছে পাকিস্তান। কবে নাগাদ সেই ঋণ মিলবে— এখনও তার ইঙ্গিত দেয়নি আইএমএফ তবে ইসলামাবাদ আশা করছে, চলতি মাসে বাজেট পেশের আগেই আইএমএফ থেকে ‘সুসংবাদ’ আসবে।

এই পরিস্থিতেতে স্বর্ণের দাম হ্রাস পাওয়া দেশটির অর্থনীতির জন্য ‘শুভ সংকেত’ বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

এসএমডব্লিউ