ফাইল ছবি

রুশ সেনাদের হটাতে কয়েকদিন আগে পূর্ব দিকের অঞ্চলগুলোতে হামলা চালানো শুরু করে ইউক্রেন।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের দু’জন সামরিক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানিয়েছেন, এ হামলা চালাতে গিয়ে রুশ বাহিনীর ‘শক্তিশালী প্রতিরোধের’ মুখে পড়েছিলেন ইউক্রেনীয় সেনারা। এতে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা। এছাড়া হারিয়েছেন মার্কিনিদের পাঠানো সাঁজোয়া যানও।

দীর্ঘ অপেক্ষা ও প্রস্তুতির পর রাশিয়ানদের প্রতিরোধ ভাঙতে এ অভিযান শুরু করে ইউক্রেন। আগেই ধারণা করা হয়েছিল, এ বিষয়টি ইউক্রেনীয়দের জন্য কঠিন হবে। কিন্তু রুশ সেনারা যে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে সেটি ‘ধারণারও বাইরে’ বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

তাদের একজন বলেছেন, ধ্বংসপ্রাপ্ত অস্ত্রের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো এমআরএপি সাঁজোয়া যানও ছিল। আর ক্ষতির পরিমাণ বেশ ‘উল্লেখযোগ্য।’

ইউক্রেনের সেনারা বাখমুতে কিছু সফলতা অবশ্য পেয়েছেন। কিন্তু ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, গ্রেনেড ও মর্টারসহ অন্যান্য অস্ত্রে সজ্জিত রুশ বাহিনী ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। কিছু কিছু জায়গায় রাশিয়ার সেনারা কয়েক ধাপে প্রতিরোধ তৈরি করেছেন। যার মধ্যে বিস্তৃত অঞ্চলে মাইনও পুঁতেছেন তারা। আর এসব মাইন ও প্রতিরোধ ইউক্রেনীয় সেনাদের সাজোঁয়া যানের ব্যাপক ক্ষতি করেছে।

তবে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণে এ ক্ষয়ক্ষতি বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন তারা। পশ্চিমা দেশগুলো আগেই জানিয়েছিল, পাল্টা আক্রমণ সফল হতে সময় লাগবে এবং এই অভিযানে সেনা, তাদের যুদ্ধাস্ত্র ঝুঁকিতে পড়বে।

এছাড়া ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও কয়েকদিন আগে স্বীকার করেন, পাল্টা আক্রমণ তাদের জন্য অনেক কঠিন হবে এবং এই অভিযানে ‘অনেক সেনা মারা যাবে।’

রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু দাবি করেন, গত বুধবার বাখমুতে হামলা চালাতে আসে ইউক্রেনের সেনারা। তখন তাদের ঠেকিয়ে দেওয়া হয়। এরপর  বৃহস্পতিবার তিনি দাবি করেন, জাপোরিঝিয়াতেও আক্রমণ চালিয়েছিল ইউক্রেনীয় বাহিনী। সেখানেও তাদের রুখে দেওয়া হয়। 

সূত্র: সিএনএন

এমটিআই