ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গ্র্যামি জয়ী ভারতীয়-আমেরিকান গায়িকা ও গীতিকার ফালুর সঙ্গে হাত মিলিয়ে গান লিখেছেন। জানা গেছে, বাজরা শস্যের উপকারিতা ও বিশ্ব ক্ষুধা দূর করতে এর সম্ভাব্যতা প্রচারের জন্যই তৈরি হয়েছে এ গান। শনিবার ১৬ জুন বিশ্বব্যাপী প্রকাশিত হয়েছে এ গানটি।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভারত কর্তৃক প্রস্তাব আনার পর ২০২৩ সালকে ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অব মিলেটস (আইওয়াইএম) হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১৬ জুন) ফালু এবং তার স্বামী গৌরব শাহ ‘অ্যাবন্ডেন্স অব মিলেটস’ গানটি প্রকাশ করেন।

ভারতের মুম্বাইয়ে জন্ম ফাল্গুনি শাহর। যিনি ফালু নামেই বেশ পরিচিত। তিনি তার অ্যালবাম এ কালারফুল ওয়ার্ল্ড-এর জন্য ২০২২ সালে সেরা শিশুদের অ্যালবামের জন্য গ্র্যামি পুরস্কার পান।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী মোদি আমার এবং আমার স্বামীর সঙ্গে বসে এ গানটি লিখেছেন। আমাদের বিশ্বাস ইংরেজি এবং হিন্দিতে লেখা গানটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।

এক সাক্ষাৎকারে ফালু জানান, বাজরা নিয়ে গান লেখার কথা তার মাথায় আসে যখন তিনি গ্র্যামি জেতার পর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নয়াদিল্লিতে দেখা করেন।

তিনি বলেন, এ গানের মূল লক্ষ্য হলো বাজরাকে প্রচার করা এবং কৃষকদের আরও বেশি করে ফলন করতে উৎসাহ যোগানো। যাতে বিশ্বের বিভিন্ন অংশে ক্ষুধা দূর করা যায়।

সমাজ পরিবর্তন ও মানবতার উন্নতির জন্য গানের অবদান নিয়ে কথা প্রসঙ্গে মোদি তাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন ক্ষুধা দূর করতে বাজরার ভূমিকা নিয়ে একটি গান লেখার। তিনি ভারত বাজরাকে প্রচার করতে চান। কারণ এটি একটি শস্য এবং এর প্রচুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টিগুণ রয়েছে।

উল্লেখ্য, অনেক ইতিহাসবিদ দাবি করে থাকেন ভারতের সিন্ধু উপত্যকা সভ্যতার সময় থেকে বাজরার ফলন চলে আসছে। বর্তমানে ১৩০টিরও বেশি দেশে জন্মানো এ শস্য এশিয়া এবং আফ্রিকা জুড়ে হাফ মিলিয়নের বেশি মানুষের খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।

এফকে