টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের কাছে ডুবোজাহাজটি

আটলান্টিক মহাসাগরের অতল গভীরে নিঁখোজ হওয়া ডুবোজাহাজ খুঁজে বের করতে বড় উদ্ধার অভিযান চলছে। তবে এখনো এটির খোঁজ পাওয়া যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড জানিয়েছে, এটিতে আর মাত্র ৭০ ঘণ্টার অক্সিজেন অবশিষ্ট আছে। 

রোববার (১৮ জুন) সমুদ্রের নিচে যাওয়ার ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরই ডুবোজাহাজটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপরই শুরু হয় উদ্ধার অভিযান।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ওশেনগেট কোম্পানির এ ডুবোজাহাজটিতে সাধারণত চার দিনের জরুরি অক্সিজেন থাকে। ফলে সময় যত গড়াচ্ছে নিখোঁজদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা ততই ক্ষীণ হয়ে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের কর্মকর্তা রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মুগের সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমরা ধারণা করছি এ মুহূর্তে ৭০ থেকে ৯৬ ঘণ্টা সময় (অক্সিজেন) আছে।’

নিখোঁজ ডুবোজাহাজটি আকারে একটি ট্রাকের সমান। পাঁচজন যাত্রী বহনে সক্ষম জাহাজটিতে সাধারণত সর্বোচ্চ চার দিনের জরুরি অক্সিজেন মজুদ থাকে।

এই ডুবোজাহাজটিতে আটদিনের জন্য ভ্রমণে গেলে একজন টুরিস্টকে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার খরচ করতে হয়। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকারও বেশি।

ডুবোজাহাজটি সমুদ্রের ৩ হাজার ৮০০ মিটার গভীরে যেতে পারে। আর এটি আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে পড়ে থাকা টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের কাছে ভ্রমণকারীদের ঘুরিয়ে নিয়ে আসত।

টাইটানিক জাহাজটি নিউফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জোনসের দক্ষিণের ৪৩৫ মাইল দূরে পড়ে আছে। যদিও উদ্ধার অভিযানটি সমন্বয় করা হচ্ছে বোস্টন থেকে।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ডুবোজাহাজটিতে ৫৮ বছর বয়সী ব্রিটিশ বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী হামিস হার্ডিং ছিলেন।

সূত্র: বিবিসি

এমটিআই