পিএমসি ওয়াগনারের শীর্ষ কমান্ডার ইয়েভগেনি প্রিগোজিন

রাশিয়ার বেসরকারি সামরিক কোম্পানি ও ইউক্রেনে অভিযানরত রুশ বাহিনীর প্রধান সহযোগী পিএমসি ওয়াগনারের শীর্ষ কমান্ডার ইয়েভগেনি প্রিগোজিন তার বিদ্রোহের ঘোষণায় যেসব তথ্য সরবরাহ করছেন, সেগুলোর সবই ‘সামঞ্জস্যহীন’ ও ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণনালয়।

শনিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিৃবতিতে এ সম্পর্কে বলা হয়, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অডিও ও ভিডিও পোস্টের মাধ্যমে প্রিগোজিন রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তুলেছেন, সেসব কেবল বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্যহীনই নয়, বরং উসকানিমূলকও।’

‘রুশ বাহিনী ইউক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে এবং সেখানে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে তাদের যুদ্ধ হচ্ছে। আমাদের সেনারা কেন তার সহযোগী বাহিনীর ওপর হামলা চালাবে.’বলা হয় বিবৃতিতে।

২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করেছে রুশ বাহিনী। এই অভিযান শুরুর কয়েক মাস পর রুশ বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় রুশভিত্তিক বেসরকারি সামরিক কোম্পানি পিএমসি ওয়াগনার। ইউক্রেন ছাড়াও সিরিয়া, লিবিয়া, সেন্ট্রাল আফ্রিকা, মালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থের বিনিময়ে সরকারি বাহিনীর সহযোগী হিসেবে যুদ্ধ করছেন ওয়াগনারের সেনাসদস্যরা।

ইউক্রেনে রুশ কমান্ডের নেতৃত্বে রাশিয়ার সেনাসদস্যদের সঙ্গে এতদিন বেশ ভালোভাবেই মিলেমিশে যুদ্ধ করছিল পিএমসি ওয়াগনার। তবে গত কয়েক মাস ধরেই ভাসা ভাসা ভাবে ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে রুশ বাহিনীর সঙ্গে ওয়াগনার গ্রুপের যোদ্ধাদের দ্বন্দ্ব-সংঘাতের খবর আসছিল।

শুক্রবার এক অডিওবার্তায় ইয়েভগেনি প্রিগোজিন জানান, রুশ সেনারা ওয়াগনার গ্রুপের যোদ্ধাদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে এবং সেই হামলায় ইতোমধ্যে গ্রুপের ২ হাজার যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। এই হামলার জন্য রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং রুশ বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গারিসিমভকে সরাসরি দায়ী করে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ঘোষণা দেন তিনি।

সেই সঙ্গে ওয়াগনার প্রধান আরও বলেন, এই হামলার উপযুক্ত জবাব দিতে গ্রুপের ২৫ হাজার যোদ্ধা নিয়ে ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্ত থেকে মস্কোর পথে রওনা হয়েছেন তিনি।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শনিবার জাতির উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে তিনি একবারও পিএমসি ওয়াগনার ও তার শীর্ষ কমান্ডার ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের নাম উল্লেখ না করে বলেছেন, রাশিয়া ও রুশ জনগণকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।

সূত্র : আরটি

এসএমডব্লিউ