কাঠমান্ডুর রোববারের সকালটা ছিল ভিন্ন রকম। ঢাক-ঢোল, বাদ্য-বাজনায় মুখরিত কাঠমান্ডু। অনেক রাস্তা লাল রঙে রঙিন। একে অন্যকে রঙ মাখিয়ে দিচ্ছেন। কেউ আবার পানি ছিটিয়ে দিচ্ছেন। হোলি উৎসবের জন্য রোববার কাঠমান্ডুর সব দোকানপাট,স্কুল,কলেজ, অফিস-আদালত ছিল বন্ধ।

প্রত্যেক বছর হোলিতে কাঠমান্ডু সাজে নানা রঙে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে এবারের আয়োজন ছিল খানিকটা স্বল্প পরিসরে।

তরুণ দিপেশ তিনালসিমা বলেন, এবার হোলি উৎসব অনেকটা ঘরোয়া ভাবেই উদযাপন করা হচ্ছে। বাড়ির ছাদে বা বাসায় রঙ খেলাখেলি করে। বন্ধুবান্ধব,কলিগদের মধ্যে সেভাবে হচ্ছে না। রাস্তায় সেই অর্থে মাতামাতি একটু কমই। করোনা না থাকলে হোলি উৎসব আরও বেশি প্রাণবন্ত হতো।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় উৎসব হোলি। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বী সংখ্যা নেপালেই বেশি। সনাতন ধর্মের উৎসব হলেও এই দিনটি যেন নেপালের সার্বজনীন উৎসব। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সঞ্জীব শিল্পাকার এই দিনটি অনেক উপভোগ করেন।

তিনি বলেন, এই দিনটি নেপালে অনেক আনন্দের। সনাতন ধর্মের পাশাপাশি আমরাও উদযাপন করি। ধর্ম যার যার উৎসব সবার, আমরা এটা অনুসরণ করার চেষ্টা করি।

হোলি উৎসব নেপালে দুই দিনব্যাপী হয়। পাহাড়ি এলাকা কাঠমান্ডু, ললিতপুর, পোখরাতে গতকাল উদযাপন করা হয় হোলি। সমতল ভূমি বিরাটনগর, ধনগড়েরর মতো এলাকায় হোলি উদযাপন হবে আজ।

ভারতেও এই দিনটি ব্যাপক উৎসাহের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়। বাংলাদেশে আগে এই দিনে তেমন উৎসাহ-উদ্দীপনা না থাকলেও এখন ধীরে ধীরে সেই চিত্র পাল্টে যাচ্ছে।

এজেড/এসকেডি