কয়েক দিনের ভারী বর্ষণের কারণে সৃষ্ট ভূমিধস ও বাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় অন্তত ২২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ১৪ জন বলে শনিবার স্বরাষ্ট্র ও নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় ভূমিধসের কারণে বাড়িঘরের ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।

দেশটির স্বরাষ্ট্র ও নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে ৪ হাজার ৭৬৩ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালের দিকে বাঁধ উপচে নর্থ চুংচেং প্রদেশের পানি ঢুকে পড়েছে।

প্রদেশের কর্তৃপক্ষের মতে, স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার আদেশ জারি করা হয়েছে। এই আদেশের পর ৭ হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

কোরিয়ার আবহাওয়া প্রশাসনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রোববার কোরীয় উপদ্বীপে আরও ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। যে কারণে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কোরিয়া রেলরোড করপোরেশন বলেছে, তারা দেশজুড়ে সব ধরনের ধীরগতির ট্রেন ও কিছু বুলেট ট্রেনের যাত্রী পরিবহন স্থগিত করেছে। অন্যান্য বুলেট ট্রেনের যাত্রীসেবাও বিলম্বিত হতে পারে। ভূমিধস, রেললাইনে বন্যার পানি ও পাথর সরে যাওয়ায় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। যে কারণে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার গভীর রাতে নর্থ চুংচেং প্রদেশে ভূমিধসের কারণে রেললাইনে মাটি ও বালুর স্তুপ তৈরি হওয়ায় একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে বলে দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এই দুর্ঘটনায় ট্রেনটির প্রকৌশলী আহত হয়েছেন। তবে দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটিতে কোনও যাত্রী ছিলেন না।

প্রাকৃতিক দুর্যোগময় এই পরিস্থিতিতে শনিবার সরকারি বিভিন্ন সংস্থার সাথে বৈঠক করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু। এ সময় তিনি সামরিক বাহিনীকে সক্রিয়ভাবে উদ্ধার কার্যক্রমে যোগদান, সরঞ্জাম ও জনবল সংগ্রহের জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস