বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারতে কমেছে গরিব মানুষের সংখ্যা। দেশটির সরকারি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সোমবার (১৭ জুলাই) প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘২০২১ সালের আগের পাঁচ বছরে’ ১৩ কোটি ৫০ লাখ মানুষ দারিদ্রতা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ।

বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্রতার হার উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। জাতিসংঘের বহুমাত্রিক দারিদ্রতা সূচক (এমপিআই) প্রয়োগ করে এ তথ্য বের করা হয়েছে। এই সূচকে দারিদ্রতা নির্ণয়ে অপুষ্টি, শিক্ষা এবং স্যানিটেশনসহ মোট ১২টি বিষয় বিবেচনা করা হয়। যদি কেউ এ তিনটি বা তারও বেশি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকেন তাহলে তাকে দরিদ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ভারত সরকারের পর্যবেক্ষক সংস্থা এনআইটিআই আয়োগ এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। সংস্থাটির ভাইস-চেয়ারম্যান সুমন বেরি বলেছেন, ‘পুষ্টির উন্নতি, কয়েক বছরের বিদ্যালয়-শিক্ষা, স্যানিটেশন এবং ভোজ্য তেল দারিদ্রতা কমাতে বড় ভূমিকা রেখেছে।’

২০১৫/১৬-তে ভারতে দরিদ্র বা গরিব ছিলেন ২৫ শতাংশ মানুষ। কিন্তু ২০১৯-২১ সালের মধ্যে এটি ১৫ শতাংশে নেমে আসে। ২০১৯-২১ সালের জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য জরিপে ওঠে আসে এ তথ্য।

গত সপ্তাহে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা ইউএনডিপি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ২০২১ সালে ভারতে দারিদ্র সীমায় বাস করা মানুষের সংখ্যা ১৬ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০০৫ সালে যা ৫৫ শতাংশ ছিল।

ইউএনডিপির হিসাব অনুযায়ী, ভারতে যেসব মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে, অর্থাৎ দৈনিক ২ দশমিক ১৫ ডলারের নিচে আয় করতেন; ২০২১ সালে এসে তাদের সংখ্যা ১০ শতাংশ কমে যায়।

ভারতে দারিদ্রতা থেকে সবচেয়ে বেশি মুক্তি পেয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মানুষ। এরপর যথাক্রমে রয়েছে বিহার ও মধ্যপ্রদেশ।

সূত্র: রয়টার্স

এমটিআই