হংকংয়ের ট্রেগুন্টার টাওয়ার ভবনে ওঠার সময় নিচে পড়ে গেছেন রেমি লুসিদি।

৩০ বছর বয়সী ফরাসি তরুণ রেমি লুসিদির স্ট্যান্ট দুর্বলচিত্তের মানুষের জন্য কিছুটা ভয়ের। কারণ দুঃসাহসী এই তরুণ চরম সব স্ট্যান্টের জন্য বিশেষ পরিচিত। বিশ্বের আকাশচুম্বী বিভিন্ন ভবনে ওঠাই যেন তার নেশা। ফরাসি এই তরুণ হংকংয়ের ৬৮তলা আবাসিক ভবন থেকে পড়ে মারা গেছেন। হংকং পুলিশ ওই ভবনের নিচ থেকে তার মরেদহ উদ্ধার করেছে।

সোমবার হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হংকংয়ের ট্রেগুন্টার টাওয়ার ভবনে ওঠার সময় নিচে পড়ে গেছেন রেমি লুসিদি। ঘটনাস্থলেই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি ওই ভবনের একেবারে ওপরের তলার বাইরে আটকা পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পরে সেখান থেকে একটি রুমের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় রুমের জানালায় আঘাত করতে গিয়ে পা পিছলে নিচে পড়ে যান তিনি।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রেমি লুসিদি পায়ের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভবনের নিচে পড়ে মারা গেছেন। হংকংয়ের কর্মকর্তাদের মতে, লুসিদিকে রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভবনটির ভেতরে দেখা যায়। ট্রেগুন্টার টাওয়ারের ৪০ তলায় এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি সেখানে এসেছেন বলে ভবনের নিরাপত্তারক্ষীকে জানিয়েছিলেন লুসিদি। 

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট বলছে, ৪০ তলার কথিত সেই বন্ধু লুসিদিকে চেনেন না বলে জানানোর পর তাকে ভবনের নিরাপত্তা ফটকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে তিনি ভবনের লিফটে উঠে যান।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, লিফট ব্যবহার করে ভবনের ৪৯তম তলায় পৌঁছান লুসিদি। পরে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে যান তিনি। ভবনের নিরাপত্তারক্ষীরা ছাদে যাওয়ার জন্য সেখানে একটি বিশেষ হ্যাচ খুঁজে পান। ছাদে অনেক খোঁজাখুজি করেও পাওয়া যায়নি তাকে।

ভিডিওতে সর্বশেষ তাকে সন্ধ্যা ৭টা ৩৮ মিনিটেও জীবিত অবস্থায় দেখা যায়। ওই সময় ভবনের পেন্টহাউসের জানালায় আঘাত করেন তিনি। পরে একজন গৃহকর্মী পুলিশকে ফোন করে ভবনের ছাদে তার (লুসিদির) উপস্থিতির তথ্য জানান।

গণমাধ্যম বলছে, ট্রেগুন্টার টাওয়ারের পেন্টহাউসের বাইরে আটকা পড়েছিলেন লুসিদি। ভারসাম্য হারিয়ে নিচে পড়ে যাওয়ার আগে সহায়তার আশায় জানালায় কড়া নাড়ছিলেন তিনি।

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভবনের নিচে লুসিদির ক্যামেরা খুঁজে পেয়েছে। এতে আকাশচুম্বী অনেক ভবনে তার স্টান্টের ভিডিও রয়েছে। তবে লুসিদি ঠিক কী কারণে মারা গেছেন সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি হংকং পুলিশ।

এসএস