দ. কোরিয়ায় পথচারীদের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দেওয়ার পর ছুরি হামলা, আহত ১৪
দক্ষিণ কোরিয়ায় গাড়ি ও ছুরি হামলায় ১৪ জন আহত হয়েছেন। মূলত পথচারীদের ওপর প্রথমে গাড়ি উঠিয়ে দেওয়ার পর সেখান থেকে বেরিয়ে অভিযুক্ত হামলাকারী শপিংমলে প্রবেশ করেন এবং সেখানে কয়েকজনকে ছুরিকাঘাত করেন।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের কাছে অবস্থিত একটি কমিউটার শহরে এই ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। শুক্রবার (৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বিজ্ঞাপন
মূলত কমিউটার শহর হলো এমন একটি জনবহুল এলাকা যা বাণিজ্যিক বা শিল্পের পরিবর্তে প্রাথমিকভাবে আবাসিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এদিকে বৃহস্পতিবারের এই ঘটনার পেছনের কারণ ঠিক কী হতে পারে সে সম্পর্কে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিজ্ঞাপন
তবে এই ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন মাত্র কয়েকদিন আগেই দক্ষিণ কোরিয়ায় আরেকটি ছুরি হামলার ঘটনায় একজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের ঘটনায় হামলাকারীকে দৃশ্যত লোকজনের ওপর এলোপাতাড়িভাবে হামলা করার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মিডিয়া রিপোর্টে তাকে ২০ বছরের বেশি বয়সী যুবক হিসাবে বর্ণনা করে বলা হয়েছে, তিনি ডেলিভারির কাজ করেন এবং কিছু মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন।
রয়টার্স বলছে, সিউল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার (১২ মাইল) দূরে সিওহিয়েন স্টেশনের কাছে এই হামলার ঘটনাটি ঘটে। হামলাস্থলে একটি বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও অন্যান্য দোকান রয়েছে এবং ওই এলাকায় অনেক মানুষ বাস করেন।
মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, হামলার সময় অভিযুক্ত লোকটি ফুটপাতে হাঁটতে থাকা একদল লোকের ওপর তার গাড়িটি উঠিয়ে দেন এবং তারপর একপর্যায়ে গাড়ি থেকে নেমে একটি শপিং মলে প্রবেশ করেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে তাকে ক্রেতাদের ধাওয়া করতে দেখা গেছে। রয়টার্স অবশ্য স্বাধীনভাবে এই ভিডিও ফুটেজ যাচাই করেনি।
পুলিশ এবং অগ্নিনির্বাপক কর্মকর্তারা শুক্রবার টেলিফোনে বলেছেন, এই হামলার ঘটনায় ১৪ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে নয়জন ছুরিকাঘাতে এবং পাঁচজন গাড়ির আঘাতে আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এর আগে নিউজিস নিউজ এজেন্সি একজনের মৃত্যুর খবর দিলেও পুলিশ কর্মকর্তা তা অস্বীকার করেছেন। শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে দেখা যায়, মলের বাইরে রক্তের দাগ পরিষ্কার করছেন এক শ্রমিক।
পুলিশ কমিশনার জেনারেল ইউন হি-কেউন দক্ষিণ কোরিয়ানদের এই ধরনের হামলার জন্য সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে এবং কপিক্যাট অপরাধের দিকে নজর দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবারের এই হামলার ঘটনা সত্ত্বেও দক্ষিণ কোরিয়ায় সহিংস ঘটনা বা অপরাধ তুলনামূলকভাবে বেশ বিরল বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
টিএম