ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনের অধিকৃত জেরুজালেমে দূতাবাস খোলার ঘোষণা দিয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ রাষ্ট্র পাপুয়া নিউ গিনি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে আগামী সপ্তাহে জেরুজালেম সফর করবেন এবং সেই সময়ই ওই দূতাবাস খুলবেন তিনি।

সোমবার (২৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপের সফরের সময় আগামী সপ্তাহে জেরুজালেমে পাপুয়া নিউ গিনি দূতাবাস খুলবে বলে সোমবার তার কার্যালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন। আগামী সপ্তাহে মারাপের ইসরায়েল সফর এবং সেখানে দেশটি দূতাবাস খুলতে প্রস্তুত কিনা জানতে চাইলে ওই মুখপাত্র বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা সঠিক।’

এর আগে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ফেব্রুয়ারি মাসে বলেছিল, ২০২৩ সালের কোনও এক সময় ইসরায়েলে নিজেদের প্রথম দূতাবাস খুলবে পাপুয়া নিউ গিনি। চ্যানেল ১৪ এবং টাইমস অব ইসরায়েলসহ ইসরায়েলি মিডিয়া জানিয়েছে, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পাপুয়া নিউ গিনির দূতাবাসের উদ্বোধন হবে।

রয়টার্স বলছে, ইসরায়েলে সরকারি কূটনৈতিক উপস্থিতিসহ বেশিরভাগ দেশের দূতাবাস রয়েছে তেল আবিব শহরে। তবে কেবল যুক্তরাষ্ট্র, কসোভো, গুয়াতেমালা এবং হন্ডুরাসের দূতাবাস বর্তমানে জেরুজালেমে রয়েছে।

জেরুজালেম নিয়ে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দশকের পর দশক ধরে সংঘাত চলছে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েক দশকের মার্কিন নীতির বাইরে গিয়ে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। এরপর ২০১৮ সালের মে মাসে ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করা হয়।

মূলত জেরুজালেমকে নিজেদের রাজধানী হিসেবে মানেন ফিলিস্তিনিরা। ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের আবর-ইসরায়েল যুদ্ধে জেরুজালেম দখলের পর ইসরায়েল তা নিজেদের ভূখণ্ড হিসাবে ঘোষণা দেয়। তবে ইসরায়েলের এই দাবি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনোই স্বীকৃতি দেয়নি।

উল্লেখ্য, জেরুজালেম ইহুদি, খিস্টান ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে পবিত্র স্থান। ফিলিস্তিনিরা এই শহরটিকে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দেখতে চায়।

টিএম