‘এখন সব আল্লাহর হাতে ছেড়ে দিন’, পারভেজ মোশাররফ নিয়ে বললেন আদালত
পাকিস্তানের সাবেক স্বৈরশাসক ও প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ চিকিৎসার কথা বলে ২০১৬ সালে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তার বিদেশ যাওয়া আটকাতে ৬ বছর আগে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল।
ওই পিটিশনে আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছিল, পারভেজের নাম যেন এক্সিট কন্ট্রোল লিস্টে (ইসিএল) যুক্ত করা হয়। এতে করে তার ওপর দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা থাকত।
বিজ্ঞাপন
তবে ওই পিটিশনের ওপর আদালত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই তিনি দুবাই পালিয়ে যান। এরপর সেখানে পাঁচ বছরের বেশি সময় নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
দীর্ঘ ৬ বছর পর সেই পিটিশনটির ওপর গতকাল মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়। তবে পারভেজ মোশরাফ মৃত্যুবরণ করায় এটি বাতিল করে দিয়েছেন আদালত।
বিজ্ঞাপন
বিচারক মাজহার আকবর নকবীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে এ শুনানি হয়। শুনানির এক পর্যায়ে বিচারক নকবী বলেন, ‘এই পিটিশনটি এখন অপ্রয়োজনীয় নয় কী?’
এর জবাবে পিটিশন দায়েরকারী আইনজীবী তওফিক আসিফ বলেন, ‘যদি এই পিটিশনের ওপর ছয় বছর আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো, তাহলে এটি অপ্রয়োজনীয় হতো না।’ তিনি আরও বলেন, ওই সময় ধারণা করা হয়েছিল পারভেজ মোশাররফ দেশ ছাড়তে পারলে আর কখনো ফিরবেন না। তিনি ফেরেনওনি।
এর জবাবে অপর বিচারপতি জামাল খান মান্দোখালি বলেন, ‘এখন এটি আল্লাহর হাতে ছেড়ে দিন।’ জবাবে পিটিশন দায়েরকারী বলেন, ‘হ্যাঁ, এখন এটি আল্লাহর কাছেই।’
এরপর আদালত পিটিশনটি বাতিল করে দেন।
এদিকে ১৯৯৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে ক্ষমতাচ্যুত করেন পারভেজ মোশাররফ। তার এ ক্ষমতা ২০০৮ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। এরপর তিনি ক্ষমতা হারানো পর— তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বিচার করা হয়। সেই বিচারে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলেও কখনো তা কার্যকরের সুযোগ তৈরি হয়নি।
সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
এমটিআই