বিরোধপূর্ণ নাগারনো-কারাবাখে সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। গতকাল মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে নিজেদের পাহাড়ি ছিটমহল কারাবাখে পূর্ণমাত্রার হামলা চালানো শুরু করে আজারি সেনাবাহিনী। তারা দাবি করে সেখানে, ‘সন্ত্রাস বিরোধী’ অভিযান চালানো হচ্ছে।

তবে প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ সঙ্গে এও জানিয়েছেন, সেখানকার সন্ত্রাসীরা যদি অস্ত্র ফেলে দেয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে অভিযান বন্ধ করে দেবেন তিনি।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) আজারি প্রেসিডেন্টকে ফোন করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এই ফোন কলেই ব্লিঙ্কেনকে তিনি জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত সেখানকার সন্ত্রাসীরা অস্ত্র ফেলে না দেবে ততক্ষণ হামলা অব্যাহত থাকবে।

আরও পড়ুন>>> বিচ্ছিন্নতাবাদী আর্মেনীয়দের আত্মসমর্পণের নির্দেশ আজারবাইজানের

আন্তর্জাতিকভাবে নাগরনো-কারাবাখ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ আজারবাইজানের অংশ। তবে সেখানে বসবাস করেন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী জাতিগত আর্মেনিয়ানরা। আজারবাইজানের অভিযোগ প্রতিবেশী দেশ আর্মেনিয়ার সহযোগিতা নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে নিজেদের সংঘটিত করছিল সেখানকার বাসিন্দারা।

আজারবাইজান আরও জানিয়েছে, নাগোরনো-কারাবাখে গত ৯ সেপ্টেম্বর কথিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজন করে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। এছাড়া আর্মেনিয়ার সহায়তা নিয়ে সেখানে মাইন পোঁতা হচ্ছিল। এসব কার্যক্রম থামাতেই বাধ্য হয়ে সামরিক অভিযান শুরু করতে হয়েছে তাদের।

এই নাগারনো-কারাবাখ নিয়ে ১৯৯০ সাল ও ২০২০ সালে দুইবার যুদ্ধ করেছিল আর্মেনিয়া-আজারবাইজান। ৯০ এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হওয়ার পরই এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন>>> নাগোরনো-কারাবাখে আজারবাইজানের হামলায় নিহত ২৫

সেখানে যেসব জাতিগত আর্মেনিয়ান বসবাস করেন তাদের দাবি, এই অঞ্চলটিতে প্রাচীন আমল থেকেই তাদের বংশধরেরা রয়েছে। অপরদিকে আজারবাইজানের দাবি ঐতিহাসিকভাবে এই ছিটমহলটি তাদেরই।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, আজারবাইজানের মূল উদ্দেশ্য হলো এখন নাগারনো-কারাবাখের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা। এরপর জাতিগত আর্মেনিয়ানদের আজারি পাসপোর্ট দেওয়া। আর যেসব আর্মেনিয়ান আজারি পাসপোর্ট নেবে না, তাদের সেখান থেকে বের করে দেওয়া।

সূত্র: আল জাজিরা

এমটিআই