বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন এবার হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের তীব্র সমালোচনা করেছেন। গত শনিবার নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জের একটি রিসোর্টে নারী নিয়ে ঘুরতে গিয়ে অবরুদ্ধ দশার মুখোমুখি হওয়ার পর হেফাজতের এই নেতা সেই নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করায় চটেছেন তসলিমা নাসরিন।

দু’জন নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মামুনুল প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তসলিমা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘ভেবেছিলাম মামুনুল হক প্রেমিকা নিয়ে প্রমোদ বিহারে গেছে, যেতেই পারে, প্রেম সেক্স করা কোনও অন্যায় নয়। আসলে লোকটি প্রেম নয়, দুটি মহিলার সঙ্গে প্রতারণা করছে।’

ফোনালাপ ফাঁসের বিষয়ে তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, ‘কিছু ফোনালাপে প্রমাণ পাওয়া গেল যে সে তার স্ত্রী আমিনা বা রাবেয়াকে  ধোঁকা দিচ্ছে এবং ঝর্ণার অসহায়তার সুযোগে ঝর্ণাকে, যাকে সে আল্লাহর কসম কেটে বলেছে যে বিয়ে করেছে, আসলে যাকে সে বিয়ে করেনি, নেহাত যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করছে। এত ভয়ংকর নারী বিদ্বেষী লোক নারীর সঙ্গে প্রেম করে না, নারীকে নিজের... ফেলার ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করে। দুই রমণীই কিন্তু তাকে আপনি সম্বোধন করে। দু’জনই তাকে প্রভু মানে।’

ভারতে নির্বাসিত এই লেখিকা বলেন, ‘হেফাজতি নেতাদের মধ্যে ফোনালাপ, স্ত্রীর সঙ্গে মামুনুলের ফোনালাপ, ঝর্ণার সঙ্গে মামুনুলের  ফোনালাপ, মামুনুলের বোনের সঙ্গে মামুনুলের স্ত্রীর ফোনালাপ, ঝর্ণার সঙ্গে তার পুত্রের ফোনালাপ, ঝর্ণার সঙ্গে কাবিননামা বিষয়ে এক ভাইয়ার ফোনালাপ, মামুনুলের সঙ্গে তৃতীয় মহিলার ফোনালাপ, মামুনুল সম্পর্কে ঝর্ণার পুত্রের বক্তব্য ভিডিও। এগুলো শুনলেই প্রতারক মামুনুলের চরিত্র উন্মোচিত হয়। মাত্র দুটি প্রতারণার গল্প বেরোলো। এরকম কত গল্প আছে, কে জানে।’

তসলিমা কিছু পুরুষের সমালোচনা করে বলেন, ‘নারী নির্যাতন, নারী হেনস্থা, নারীর সঙ্গে প্রতারণা বাংলাদেশের বদ পুরুষ লোকেরা অহরহই করে। মামুনুল যেহেতু নেতা, যেহেতু তার আদেশে লক্ষ পঙ্গপাল চারদিক ছাই করে দেয়, নিজেরা শুধু খুন করতে নেমে পড়ে না, নিজেরা খুন হতেও নেমে পড়ে। সেহেতু মামুনুলের আগপাশতলা দেখা জরুরি। পঙ্গপালগুলোর জানা জরুরি কোন নিকৃষ্ট লোকের, কোন প্রতারকের, মিথ্যুকের, কোন স্বার্থান্ধ বদ লোকের আদেশ তারা মেনে চলে।’

এসএস