ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওরে ২০২২ সালে বুরকিনা ফাসোর ক্ষমতা দখল করেছিলেন

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে ফের অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছে। তবে সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার। গত মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এই অভ্যুত্থান চেষ্টা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুরকিনা ফাসোর নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা পরিষেবা গত মঙ্গলবার একটি অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক সরকার। জান্তা অভিযোগ করেছে, কিছু অফিসার এবং অন্যরা দেশকে অস্থিতিশীল করে বিশৃঙ্খলার মধ্যে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।

বিবিসি বলছে, পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটিতে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওরে ক্ষমতা দখলের মাত্র এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে ফের সেনা অভ্যুত্থানের এই চেষ্টা হলো।

এদিকে টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে বুরকিনা ফাসোর কর্তৃপক্ষ বলেছে, অভ্যুত্থান চেষ্টার ঘটনায় কিছু ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে কোনও বিষয়েরই সুনির্দিষ্ট বিবরণ সেখানে দেওয়া হয়নি।

অবশ্য সম্প্রতি বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনীর মধ্যে অসন্তোষের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া গত মঙ্গলবার বিদ্রোহের গুজবের কারণে শত শত মানুষ জান্তার সমর্থনে রাজধানী ওয়াগাদুগুর রাস্তায় নেমে আসে।

একইদিনে দেশটির কর্তৃপক্ষ ফরাসি ভাষার নিউজ ম্যাগাজিন জিউন আফ্রিক বন্ধ করে দেয়। মূলত সশস্ত্র বাহিনীকে অসম্মান করে এমন নিবন্ধ প্রকাশের অভিযোগে এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানায় বুরকিনা ফাসোর সামরিক সরকার।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে সশস্ত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর ক্রমবর্ধমান হামলা মোকাবিলায় রীতিমতো সংগ্রাম করছে বুরকিনা ফাসো। সশস্ত্র এসব গোষ্ঠীগুলোর বেশিরভাগই জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দা এবং আইএস’র সঙ্গে সম্পৃক্ত। এছাড়া গত এক দশকে আফ্রিকার এই দেশটিতে সহিংসতা অনেক বেড়েছে এবং জোরালো হয়েছে। আর এতে প্রতি বছর হাজার হাজার বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন।

এছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বুরকিনা ফাসো, নাইজার এবং মালির বিস্তৃত এলাকাজুড়ে জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সম্পর্কিত জিহাদিদের হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে।

টিএম