গাজায় বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর অভিযোগ অস্বীকার সৌদির
সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলামান যুদ্ধে বেসামরিক লোকজনদের হতাহত হওয়ার ব্যাপারটি কোনোভাবেই সমর্থন করছে না মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক নেতা সৌদি আরব। সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান।
সেই সঙ্গে এই যুদ্ধ থামিয়ে আন্তর্জাতিক আইন মেনে নিজেদের মধ্যকার যাবতীয় মতভেদ দূর করতে হামাস ও ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও এ ব্যাপারে দুই পক্ষকে সহায়তার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা দেশটির জাতীয় দৈনিক আরব নিউজকে জানিয়েছেন, সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এবং ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিভাগের প্রধান জোসেপ বরেলের সঙ্গে বৈঠকের পরই এই বিবৃতি দিলেন প্রিন্স ফয়সাল।
২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিরসনে ‘দ্বিরাষ্ট্র তত্ত্ব’ (টু স্টেটস থিওরি) প্রদান করেছিলেন। সোমবারের বিবৃতিতে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তার দেশও দ্বিরাষ্ট্র তত্ত্বের পক্ষে।
বিজ্ঞাপন
শনিবার ভোররাতে দক্ষিণ ও মধ্য ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট ছোড়া শুরু করে গাজা ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ এবং হামাসের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সূর্যের আলো পুরোপুরি ফোটার আগেই ৩ হাজারেরও বেশি রকেট ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছে।
কাছাকাছি সময়ে হ্যাং গ্লাইডার ও মোটরচালিত গ্লাইডারে চেপে হামাসের বেশ কয়েকজন যোদ্ধা সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমাণ্ডের কার্যালয়ে গিয়ে সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের বন্দি ও জিম্মি করেন। সেই সঙ্গে ওই কমান্ডের সঙ্গে সেনাবাহিনীর মূল কমান্ড ও অন্যান্য শাখার কার্যালয়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তারা।
তার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মোটরসাইকেল ও জীপে করে সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করেন আরও কয়েক শ’হামাস যোদ্ধা,শুরু হয় যুদ্ধ।
যুদ্ধের প্রাথমিক অপ্রস্তুত ভাব কেটে যাওয়ার পর পূর্ণ শক্তিতে ময়দানে নামে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩ দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলে ৮ শতাধিক ও গাজায় ৫৬০, অর্থাৎ উভয়পক্ষে মোট নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৩শ’রও বেশি মানুষ।
ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশের পর নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজন ইসরায়েলিকে জিম্মি করেছে হামাস যোদ্ধারা। এই জিম্মিদের মুক্তি দিতে হামাসের হাইকমান্ডের সঙ্গে জরুরি আলোচনা শুরু করেছে কাতার।
সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কাতারের সঙ্গে এ বিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে দেশটি।
সূত্র : আরব নিউজ
এসএমডব্লিউ