গুরুতর রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কায় বিশ্বের যে কয়েকটি দেশ তরুণদের দেহে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের প্রয়োগ স্থগিত করেছে; সেসব দেশের তালিকায় যোগ দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বৃহস্পতিবার দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ তরুণদের জন্য এই ভ্যাকসিন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে।

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের প্রয়োগ নিয়ে ইতোমধ্যে নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া। দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আর ৫০ বছরের নিচের বয়সীদের দেওয়া উচিত নয়; যদি তারা ইতোমধ্যে প্রথম ডোজ নিয়ে থাকেন এবং তাদের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখায়।

সরকারের মেডিকেল উপদেষ্টা বোর্ড ইউরোপ এবং অন্যান্য অঞ্চলের দেশগুলোর অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সীমিত ব্যবহারের সিদ্ধান্ত অনুসরণ করে অস্ট্রেলিয়ার সরকার একই পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, ‌‘ছাঁয়ার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়া আমাদের কাজ নয়। অপ্রয়োজনীয় পূর্ব-সতর্কতা অবলম্বনও আমাদের চর্চা নয়। সম্ভাব্য সর্বোত্তম মেডিকেল উপদেশের ওপর ভিত্তি করে আমরা এই প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’

বিশ্বের যে কয়েকটি দেশ সফলভাবে করোনাভাইরাসের লাগাম টানতে সক্ষম হয়েছে; অস্ট্রেলিয়া সেসব দেশের অন্যতম। এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত মাত্র ৩০ হাজারের মতো করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন এক হাজার। আড়াই কোটি মানুষের এই দেশটিতে বর্তমানে কমিউনিটি সংক্রমণের কোনো ঘটনা নেই।  

কিন্তু এই রোগটির বিরুদ্ধে মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে অন্যান্য অনেক দেশের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশটিতে মাত্র ১০ লাখ মানুষ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়েছেন। যদিও গত সপ্তাহে দেশের ৪০ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

সূত্র: এএফপি।

এসএস