ফাইল ছবি

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান প্রথমবারের মতো টেলিফোনে কথা বলেছেন। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে বুধবার (১১ অক্টোবর) তারা আলোচনা করেন।

মূলত চীনের মধ্যস্ততায় তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে সম্পর্ক পুনরায় শুরু করার পর উভয় নেতার মধ্যে এই প্রথম টেলিফোনে কথপোকথন হলো। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলি এলাকায় নজিরবিহীন হামলা চালানোর পর থেকে প্রতিশোধ হিসেবে অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডজুড়ে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী। বিরতিহীন মারাত্মক ওই হামলার মধ্যেই এই দুই নেতার ফোনালাপের খবর সামনে এলো।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ‘ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধ বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা’ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

অন্যদিকে সৌদি রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, ‘বর্তমান উত্তেজনা নিরসন করতে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সব পক্ষের সঙ্গে সৌদি আরব সব রকমের যোগাযোগ করছে বলে নিশ্চিত করেছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স।’

এছাড়া সংঘাতে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়টি সৌদি আরব যে প্রত্যাখ্যান করেছে, সেটিও সৌদি যুবরাজ পুনর্ব্যক্ত করেছেন বলে এসপিএ জানিয়েছে।

এদিকে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে ইরানি প্রেসিডেন্ট রাইসির ফোনালাপ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ওয়াশিংটন ‘সৌদি নেতাদের সাথে ক্রমাগত যোগাযোগ’ রেখে চলেছে।

এই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ বা ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ বা সম্পর্ক রয়েছে এমন অংশীদারদের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র যে বার্তাটি পাঠাচ্ছে তা হলো- ‘হামাসকে তাদের আক্রমণ থেকে সরে আসতে, জিম্মিদের মুক্তি দিতে, হিজবুল্লাহ (এবং) ইরানকে এই দ্বন্দ্বের বাইরে রাখতে হবে।’

টিএম