টিকাদান কর্মসূচি শুরুর ১১ দিনের মাথায় মোট জনসংখ্যার ৬২ শতাংশকে করোনার টিকা দিয়েছে ভুটান। টিকা নেওয়ার যোগ্য মানুষ বিবেচনায় নিলে এই সংখ্যাটা হবে ৮৫ শতাংশ। খবর স্থানীয় গণমাধ্যম কুয়েনসেলের।

কুয়েনসেল সরকারি হিসাবের বরাত দিয়ে জানিয়েছে এখন পর্যন্ত ভুটানের ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৬৬৪ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ প্রতি একশ জন মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়া বাদ রয়েছে ৩৮ জনের। 

যারা এখনো টিকা নেননি তাদের মধ্যে রয়েছেন ১৮ বছরের কমবয়সী শিশু-কিশোর, অন্তঃসত্ত্বা নারী, বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান এমন মা, মারাত্মক অসুস্থ রোগী এবং শারীরিক অবস্থার কারণে যাদের টিকা নেওয়া বারণ। 

বৌদ্ধ পঞ্জিকা অনুযায়ী বানর বর্ষে জন্ম নেওয়া ৩০ বছর বয়সী নারী নিন্দা ডেমা গত ২৭ মার্চ ভুটানের প্রথম নাগরিক হিসেবে করোনার টিকা নেন। রাজধানী থিম্পুর একটি স্কুলে স্থাপিত টিকাদান কেন্দ্রে তিনি টিকা নেন।

টিকা নেওয়ার জন্য আগে থেকে সময় নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেছে সরকার। আর যারা হাসপাতালে বা টিকাদান কেন্দ্রে যেতে পারছেন না তাদেরকে বাড়িতে গিয়ে টিকা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। 

ভুটানের জাতীয় টিকাদান কর্মসূচির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ডা. জি পি ধাকাল বলছেন, দেশের ৬২ শতাংশ জনগণকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হলেও এটা যে এই ভাইরাস থেকে ১০০% সুরক্ষা দেবে তা বলা যাচ্ছে না।

তিনি এর ব্যাখ্যায় বলেন, প্রথম ডোজটি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি শুরুর প্রক্রিয়া হিসেবে অ্যান্টিবডি তৈরির সংকেত দেবে এবং দুই সপ্তাহ পর ভাইরাসটি থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য অ্যান্টিবডি তৈরির কাজ শুরু হবে।  

উল্লেখ্য, এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের অর্ধেক মানুষ অর্থাৎ ৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে গত ২৭ মার্চ ভারতের পাঠানো উপহারের টিকা দিয়ে ভুটানে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছিল।

এএস