হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ
রাগ করে ছয় বছর কথা হয়নি, সেই বাবাই বাঁচালেন মেয়েকে
হামাসের হামলার পর নিজ মেয়েকে বাঁচাতে ছুটে আসেনি শিমন পোর্টাল
ফিলিস্তিনের গাজাভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস গত শনিবার ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায়। আর হামাসের এ হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী শহর কাফার আযা। হামাসের যোদ্ধাদের হামলায় এ শহরটির অনেক মানুষ আহত ও নিহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে একজন হলেন ২২ বছর বয়সী নিতা পোর্টাল। দুই পায়ে ছয়টি গুলি লাগলেও বেঁচে গেছেন নিতা। তার সঙ্গে কথা বলেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিজ্ঞাপন
আর এ কথাবার্তায় উঠে এসেছে তাকে প্রায় মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছেন তার বাবা। যার সঙ্গে দীর্ঘ ছয় বছর কোনো কথা বা দেখা করেননি তিনি। মূলত মায়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ায় সেই রাগ থেকে বাবার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখেননি নিতা।
বিবিসির সঙ্গে নিতা জানিয়েছেন, শনিবার হামাসের সদস্যরা হঠাৎ করে তার বাড়িতে উপস্থিত হন এবং তার বাড়ির ভেতর প্রবেশ করেন। ওই সময় জীবন বাঁচাতে নিজের বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে জানালা দিয়ে লাফ দেন তিনি। আর ওই সময় হামাসের যোদ্ধারা তাদের দেখে গুলি ছোড়েন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
গুলিতে মারাত্মক আহত হওয়ার পর সবার প্রথমে নিজের বাবাকেই মেসেজ পাঠান নিতা। বাঁচার আকুতির বার্তা পেয়ে তার বাবা পুলিশ কর্মকর্তা শিমন পোর্টাল সেখানে দ্রুত ছুটে যান। যদিও তিনি আগে থেকে জানতেন না তার মেয়ে কোথায় বসবাস করে; কিন্তু মেয়ের দেওয়া ঠিকানায় সেখানে পৌঁছে যান তিনি। প্রথম অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করতে গেলে হামাসের সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এরপর দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় মেয়েকে গাড়ির পেছনে তুলে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তিনি।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা নিতা জানিয়েছেন, তিনি এখন চান তাদের উপর হামাসের যোদ্ধাদের হামলার প্রতিশোধ নিতে সেনাবাহিনী গাজায় যাক এবং সেখানে হামাসের সকল সদস্যকে হত্যা করুক।
এদিকে অবৈধ দখলদার ইসরায়েলিদের অব্যহত অত্যাচার ও পবিত্র আল-আকসা মসজিদকে অপবিত্রকরণের প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলের উপর গত শনিবার ব্যাপক হামলা চালায় হামাস। এতে কমপক্ষে ১ হাজার ৩০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে অবৈধ বসতিস্থাপনকারী বেসামরিক ইসরায়েলিরাও রয়েছেন।
সূত্র: বিবিসি
এমটিআই