মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউ ঠেকাতে শনিবার থেকে ভাইরাসটির প্রকোপে মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশ ইরানে দশ দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত টিভির বরাতে এ খবর জানিয়েছে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি। 

ইরানের করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণী সর্বোচ্চ বিশেষজ্ঞ পরিষদ ‘করোনাভাইরাস টাস্কফোর্স’ রেড জোনের আওতায় থাকা আড়াই শতাধিক শহরে দোকান বন্ধ ও এক-তৃতীয়াংশ কর্মী নিয়ে অফিস চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। 

এপি জানাচ্ছে, সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় রাজধানী তেহরান ছাড়াও ইরানের আরও আড়াই শতাধিক শহরকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আক্রান্তের হার বেশি থাকা এসব শহরে সর্বোচ্চ বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে।

দেশটির কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ইরানের ৮৫ শতাংশ এলাকা এখন ‘রেড’ কিংবা ‘অরেঞ্জ’ জোনে রয়েছে। আর এসব এলাকার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মহামারি এই ভাইরাসের সংক্রমণ কয়েক সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী।   

ফারসি নববর্ষ ‘নওরোজ’ এর সময় দুই সপ্তাহের সরকারি ছুটি এবং তাতে এক প্রান্তের মানুষের অপর প্রান্তে বেপরোয়া ভ্রমণের কারণে ইরানের চতুর্থ দফায় ভাইরাসটির প্রকোপ শুরু হয়েছে বলে দাবি করছেন দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। 

শনিবার থেকে দেশটির নতুন এই লকডাউন নিষেধাজ্ঞার আওতায় শুধু দোকান নয় পার্ক, রেস্তোরাঁ, বেকারি, বিউটি স্যালুন, শপিং মল এবং বইয়ের দোকানও বন্ধ থাকবে। খোলা থাকবে শুধু নিত্য প্রয়োজনী সেবার প্রতিষ্ঠানগুলো।  

ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা কবলিত ইরান টিকার সরবরাহ পাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত আট কোটি ৪০ লাখের মানুষের মাত্র ২ লাখকে টিকা দিয়েছে ইরান। গত সোমবার কোভ্যাক্স থেকে অবশ্য ৭ লাখ টিকা পেয়েছে দেশটি।   

ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার নতুন করে আরও ১৯ হাজার ৬০০ এর বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে আরও ১৯৩ জনের। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৬৪ হাজার ২০০ ছাড়িয়েছে। 

এএস