ভুল চিকিৎসায় হাঁটুতে সংক্রমণ হয়ে গিয়েছিল, জানালেন মমতা
প্রায় ৫৫ দিন নাকি রাজ্য সচিবালয় নবান্নে যাননি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের এমন অভিযোগ শুনে রীতিমতো ক্ষুব্ধ তিনি। বুধবার (১ নভেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ নিয়ে মুখ খোলেন মমতা।
তিনি জানান, মূল দপ্তরে না এলেও এসময় যাবতীয় প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলেছেন। এমনকি, জানান পূজার সময়ও সারারাত তিনি পাহারায় ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ‘ভুল চিকিৎসার’ প্রসঙ্গও তোলেন মমতা। বলেন, ১০-১২ দিন আমার চিকিৎসা চলেছে। ভুল চিকিৎসার কারণে আমার পায়ের আঘাতে সংক্রমণ হয়ে গিয়েছিল। ১০-১২ দিন স্যালাইনের মতো আমার হাতে চ্যানেল করা ছিল, ওষুধ চলেছে। সেই অবস্থায় বিছানা থেকে উঠতে পারিনি। তার মধ্যেও প্রতিদিন আমার অফিস থেকে কাগজ গেছে।
তারপর থেকে তিনি পূজা উদ্বোধন থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কাজকর্ম সবই সামলেছেন বলে জানান। বলেন, পূজার চারদিন ভোর ৫টা অবধি জেগে থেকে পাহারা দিয়েছি, যাতে কোনো ঘটনা না ঘটে। আমি অনেকের কাছে খারাপ, তাতে কোনো সমস্যা নেই। তবে যে তথ্য প্রচার করা হয়েছে তা ভুল।
বিজ্ঞাপন
বিরোধীদের সমালোচনায় ক্ষুব্ধ মমতা বলেন, ভারতবর্ষের ক’টা চিফ মিনিস্টার অফিসে যান? চিফ মিনিস্টার যেখানে থাকেন সেটাই তার অফিস হয়। আমি যে ৬ দিন ৬ ঘণ্টা ধরে পূজা উদ্বোধন করেছি। নবান্নের ছোট ঘরে থেকেছি। আমি নাকি ৫৫ দিন আসিনি। আমি কি টাকা নিই নাকি? আমি বিনা পয়সায় ভলান্টারি সার্ভিস দিই। স্পেনের ভিজিট ছিল অফিশিয়াল ভিজিট, কেন্দ্র ক্লিয়ারেন্স দিয়েছিল।
গত ২৭ জুন উত্তরবঙ্গে হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণের সময় বাঁ পা এবং কোমরে চোট পেয়েছিলেন মমতা। সে দিনই তাকে তড়িঘড়ি এসএসকেএমে আনা হয়েছিল। এর কিছুদিন পর হাসপাতালের উডবার্ন ব্লকে তার পায়ের পেশিতে আঘাতের চিকিৎসার জন্য সার্জিকাল প্রসিডিওর করা হয়।
এদিকে স্পেন সফর থেকে ফেরার পর ফের দেখা দেয় পায়ের সমস্যা। আবারও তিনি এসএসকেএমে যান। তারপর থেকেই চলছিল চিকিৎসা। বেশ কিছুদিন কালীঘাটের বাড়িতেই ছিলেন মমতা। এমনকি এবারই প্রথমবার কালীঘাটের বাড়িতে মন্ত্রিসভার বৈঠকও হয়।
এসএসএইচ