দ্বিতীয় ঢেউয়ে অনেক দেশেই নতুন করে বাড়ছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। আক্রান্তের পাশাপাশি এতে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। ফলে অবস্থাদৃষ্টে মনে করা হচ্ছে দ্বিতীয় দফায় আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ফিরেছে করোনা। 

গতকাল ভারতের পশ্চিমবঙ্গও করোনা সংক্রমণের নতুন রেকর্ড দেখেছে। এদিন এ রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার পেরিয়ে যায়। উদ্বেগজনক অবস্থা কলকাতারও। 

২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজারের বেশি হলেও বলা হচ্ছে এদিন অনেক কম সংখ্যক মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে যারা পরীক্ষার আওতায় বাইরে রয়েছেন, ভাইরাসের কবলে পড়েছেন তাদেরও একটি বড় অংশ। 

এদিকে এরইমধ্যে বিধানসভা ভোট চলছে পশ্চিমবঙ্গে। ফলে অনিবার্যভাবে চলছে মিছিল-মিটিং। এসবে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে দেখা যাচ্ছে না। আবার মাস্কের প্রতিও অনীহা রয়েছে মানুষের। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। 

ভারতের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এর আগে একদিনে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন গত বছরের ২২ অক্টোবর। সেদিন সংখ্যাটা ছিল  ৪ হাজার ১৭২। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে সেই রেকর্ড ভেঙে গেল। এবার ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হলেন ৪ হাজার ৩৯৮। শুধু তাই নয়, অক্টোবরে যত সংখ্যক মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল, এবার তার থেকে হাজার চারেক নমুনা কম পরীক্ষা করা হয়েছে।  

এ পরিস্থিতিতে কলকাতায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে হাসপাতাসগুলোতে শয্যা সংখ্যা কমছে। এমনকি, অনেক কোভিড হাসপাতালে কার্যত কোনো শয্যাই খালি নেই বলে জানা গেছে। 

ভারতের এ রাজ্যে করোনার সংক্রমণে উর্ধ্বমুখি এ হারের জন্য নির্বাচনকেই দুষছেন বিশেষজ্ঞরা। অবিলম্বে মিটিং, মিছিলসহ যাবতীয় প্রচার কর্মসূচি বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। পরিস্থিতি ভয়াবহ আঁচ করে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে বলা হয়েছে, করোনা সচেতনতায় রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রী, প্রার্থী ও যারা প্রচার করছেন, তাদেরই অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। সূত্র : জি নিউজ। 

এনএফ