পিতামহ প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্রিটেনে এসেছেন ব্রিটিশ রাজ সিংহাসনের ষষ্ঠ উত্তরাধিকারী প্রিন্স হ্যারি। রোববার (১১ এপ্রিল) ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানে লস অ্যাঞ্জেলস থেকে লন্ডনে পৌঁছান তিনি।

এক বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছে লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেস কর্তৃপক্ষ। বার্তায় আরো বলা হয়েছে, গর্ভধারণ সংক্রান্ত কারণে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী মেগান মেরকেল তার সঙ্গে আসেননি। লস অ্যাঞ্জেলস থেকে একাই এসেছেন হ্যারি।

২০১৯ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর থেকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন ৩৬ বছর বয়সী প্রিন্স হ্যারি এবং তার ৩৯ বছর বয়সী স্ত্রী মেগান মার্কেল। একটি পুত্রসন্তান রয়েছে এই দম্পতির ঘরে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এই দম্পতির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিতে যাচ্ছেন হ্যারি-মেগান।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক মেগানের বাবা শ্বেতাঙ্গ হলেও মা আফ্রিকান-আমেরিকান, অর্থাৎ কৃষ্ণাঙ্গ। ব্রিটেনের রাজপুত্রের সঙ্গে একজন মিশ্র রক্তের নারীর বিয়ে সহজভাবে নেয়নি দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো।

যুক্তরাজ্য ছাড়ার আগে এই দম্পতি অভিযোগ করেছিলেন, ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যমগুলো তাদের প্রতি হিংসাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন এবং মনগড়া সংবাদ পরিবেশনের জন্য ব্রিটেনের একাধিক পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন হ্যারি-মেগান।

গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় উপস্থাপিকা অপরাহ উইনফ্রেকে ‘বিস্ফোরক’ এক সাক্ষাৎকার দেন প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী মেগান মেরকেল। সাক্ষাৎকারে মেগান বলেন, তাদের প্রথম সন্তান আর্চির জন্মের আগে অনাগত সন্তানের শরীরের ত্বক ঠিক কতোটা কালো হবে, তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যরা। একইসঙ্গে দেখতে কালো হওয়ায় তার সন্তানকে ‘প্রিন্স’ বা ‘রাজপুত্র’ উপাধি দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

সাক্ষাৎকারে মেগান যখন উইনফ্রের সঙ্গে কথা বলছিলেন, সেসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রিন্স হ্যারিও। বাকিংহাম প্যালেস অবশ্য বলেছে, মেগান মেরকেলের অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে এবং গোপনে সেটি খতিয়ে দেখা হবে।

চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন পেশায় কর্মরত ব্যক্তিদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা বেটারআপে চাকরি নিয়েছেন প্রিন্স হ্যারি। সংস্থাটির ‘চিফ ইমপ্যাক্ট অফিসার’ হিসেবে কাজ করছেন তিনি।

যুক্তরাজ্য সেনাবাহিনীতে ১০ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে প্রিন্স হ্যারির। সেনা সদস্য হিসেবে আফগানিস্তান মিশনেও গিয়েছিলেন তিনি।

সূত্র: রয়টার্স

এসএমডব্লিউ