মিয়ানমারের সামরিক জান্তারা দেশটির ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে সোমবার আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। গত এক ফেব্রুয়ারি ভোরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে সোমবার পর্যন্ত সু চির বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ আনা হলো। 

ভিডিও কনফারেন্সে সোমবার নেপিদোর আদালতে শুনানি চলাকালীন মিয়ানমারের সাবেক স্টেট কাউন্সেলরের বিরুদ্ধে কোভিডবিধি লঙ্ঘনের দায়ে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনে ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত আগস্টে বাসভবন থেকে নেপিদোর জাবুথিরি শহরতলীতে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেতাদের সঙ্গে দেখা করে সু চি ‘জনসমাগমের মাধ্যমে করোনাবিধি ভেঙেছেন’ বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। 

সোমবারের এই অভিযোগের আগে সু চির বিরুদ্ধে আমদানি-রফতানি আইন, যোগাযোগ ও রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন ছাড়াও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে পাঁচটি মামলা হয়েছে। আজকের আগেও তার বিরুদ্ধে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে আরও একটি মামলা করা হয়েছে।

সু চির এক আইনজীবী মিন মিন সোয়ে জানিয়েছেন, ‘সু চির বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ছয়টি মামলা হয়েছে।’ 

রাষ্ট্রদোহিতার অভিযোগ সোমবার সু চি ছাড়াও মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উ উইন মিন্ট এবং নেপিদো ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও এনএলডির এমপি ডা. মিউ অং ভিডিও কলে শুনানিতে অংশ নেন।

উল্লেখ্য, অভ্যুত্থানের পর সেনা কর্তৃপক্ষ এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারির পর থেকেই জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল রয়েছে মিয়ানমারের রাজপথ। জান্তাবিরোধী বিক্ষোভকারীদের দাবি, সেনাশাসন প্রত্যাহার করে অং সান সু চিকে মুক্তি দিতে হবে। 

বিক্ষোভ দমনে দুই মাসের বেশি সময় ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর দমনাভিযানে গুলিতে শিশুসহ সাত শতাধিক নিরস্ত্র বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে অধিকার সংগঠন অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি)।

এএস