সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) উপকূলে ইসরায়েলের একটি জাহাজে ফের হামলার ঘটনা ঘটেছে। হাইপেরিয়ন রে নামের এই জাহাজটি ইসরায়েল সরকারের পিসিসি কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) এই হামলার ঘটনা ঘটে।

এর আগে ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্রে আঞ্চলিক চিরশত্রু ইসরায়েল ‘নাশকতা’ চালিয়েছে দাবি করে কঠিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয় তেহরান। গত সোমবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেন, নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনা দুর্ঘটনায় ইসরায়েল জড়িত এবং এর প্রতিশোধ গ্রহণ করা হবে।

ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন হুঁশিয়ারির একদিন পরই ইসরায়েলি জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটল।

মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজায়রার কাছে ইসরায়েলের ওই জাহাজটি হামলার শিকার হয়। কোনো কোনো গণমাধ্যম অবশ্য হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে। তবে ইসরায়েল এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ইহুদি এই দেশটির গণমাধ্যম চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, ইউএই উপকূলে ওই জাহাজে মিসাইল হামলা করা হয়েছে এবং এর জন্য ইরান দায়ী। গণমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, হামলার পর তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি এবং জাহাজটিতে খুব অল্প পরিমাণই ক্ষতি হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা সূত্র দেশটির হারেৎজ সংবাদপত্রকে জানিয়েছে, হামলার পেছনে যে ইরান রয়েছে, এটা তারা নিশ্চিত। তাদের ধারণা ড্রোন ব্যবহার করে বা সরাসরি মিসাইল নিক্ষেপের মাধ্যমে জাহাজটিতে হামলা করা হয়।

শিপ-ট্রাকিং সাইট মেরিন ট্রাফিক জানিয়েছে, বাহামাসের পতাকাধারী হাইপেরিয়ন রে জাহাজটি কুয়েত থেকে আরব আমিরাতের ফুজায়রা বন্দরে যাচ্ছিল। জাহাজটি গাড়ি আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাত অবশ্য এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।

উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওই এলাকাতেই গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইসরায়েলের আরেকটি জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটে। ইসরায়েল অবশ্য এসব হামলার জন্য বরাবরই ইরানকে দায়ী করে আসছে।

সূত্র: মিডল ইস্ট আই, জেরুজালেম পোস্ট

টিএম