বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন দেশ উত্তর কোরিয়ায় দিন দিন কমছে জন্মহার। এই জন্মহার হ্রাস ঠেকাতে কার্যকরী ব্যবস্থা হিসেবে বেশি সন্তান জন্মদানের আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। এটিকে ‘সবার গৃহস্থালি’ চ্যালেঞ্জ হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা কেসিএনএ।

গতকাল রোববার পিয়ংইয়ংয়ে মায়েদের জন্য আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এমন কথা মন্তব্য করেন কিম।

তিনি বলেন, ‘জন্মহার হ্রাস ঠেকানো এবং শিশুদের সঠিকভাবে পরিচর্যা আমাদের সবার গৃহস্থালি দায়িত্ব। মায়েদের সঙ্গে কাজ করার সময় আমাদের এটি নিশ্চিত করতে হবে।’

জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালে উত্তর কোরিয়ায় একজন নারী গড়ে প্রায় দুইটি (১ দশমিক ৮) সন্তান জন্ম দিয়েছেন।

উত্তর কোরিয়ার জন্মহার অবশ্য তাদের প্রতিবেশি দেশগুলোর তুলনায় ভালো। উত্তর কোরিয়ার আশপাশে যেসব দেশ আছে সেগুলোও জন্মহার হ্রাস সমস্যা আরও প্রকট।

দক্ষিণ কোরিয়ায় গত বছর গড় জন্মহার ০ দশমিক ৭৮ এ গিয়ে ঠেকে। অপরদিকে জাপানের জন্মহার হ্রাস পেয়ে ১ দশমিক ২৬ হয়।

জন্মহার আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ায় শিশু বিশেষজ্ঞের সংখ্যাও কমে গেছে। জন্মহার বাড়াতে দেশটির একটি শহরে ম্যাচমেকিং ইভেন্টও আয়োজন করা হয়েছিল।

উত্তর কোরিয়ায় প্রায় আড়াই কোটি মানুষ বসবাস করেন। দেশটিতে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার খাদ্য সংকটে পড়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ১৯৯০ সালের দুর্ভিক্ষ। মূলত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়ে খাদ্য সংকটে পড়তে হয়েছে তাদের।

রোববারের অনুষ্ঠানে কিম উপস্থিত মায়েদের ধন্যবাদ জানান। তার মতে দেশের শক্তি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছেন মায়েরা।

কিম ওই অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, যখন তিনি কঠিন সময়ে পড়েন তখন মায়েদের কথা চিন্তা করেন।

সূত্র: রয়টার্স

এমটিআই