টিকা নেওয়ার পরও কারো নাক অথবা মুখে থাকা নভেল করোনাভাইরাস অন্য কাউকে সংক্রমিত করতে পারে কি না তা জানতে এবার বৃহৎ পরিসরে গবেষণা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির সরকারের অর্থায়নে এই গবেষণা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্তের ২১টি কলেজে পরিচালনা করা হবে বলে খবর দিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।

মার্কিন এই দৈনিক বলছে, দেশটির ওষুধপ্রস্তুতকারক জায়ান্ট কোম্পানি মডার্নার করোনা টিকা যাদের দেওয়া হয়েছে, শুধুমাত্র তাদের মধ্যে থেকে কিছু অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে এই গবেষণা পরিচালিত হবে।

আমেরিকার ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ থেকে ২৬ বছর বয়সী ১২ হাজার শিক্ষার্থীর ওপর এই ট্রায়াল চালানো হবে। গবেষণা প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্রিভেন্টকোভিডইউ।’ গবেষণার ফলাফল চলতি বছরের শেষে প্রকাশিত হবে।

এর আগে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় মডার্নার টিকা ৯৪ শতাংশ কার্যকর বলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা যায়। বিশেষ করে এই টিকা করোনা রোগীদের গুরুতর অসুস্থতা, হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর হারও কমিয়ে ফেলতে সক্ষম। 

তবে টিকা নেওয়া কারো নাক, মুখে থাকা কোভিড-১৯ ভাইরাস অন্য কাউকে সংক্রমিত করতে পারে কি না, তা আগের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা হয়নি।

তবে ইসরায়েল ও ব্রিটেনের দু’টি গবেষণায় উপসর্গ থাকা ও উপসর্গ না থাকা দু’ধরনের কোভিড সংক্রমণেরই ঝুঁকি করোনা টিকা কমিয়ে দিতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছিল। এ দু’টি গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছিল মার্কিন আরেক ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি ফাইজার এবং ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা টিকার ওপর।

যুক্তরাষ্ট্রের ৪ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও জরুরি পরিষেবা কর্মীর ওপর চালানো অন্য একটি গবেষণায় দেখা যায়, ফাইজার ও মডার্নার টিকা সব ধরনের করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে পারে। তবে এসব গবেষণার ফলের ব্যাপারে এখনও বিশেষজ্ঞরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি।

এসএস