যে কারণে চীনে ভূমিকম্পে এত ক্ষয়ক্ষতি
গত এক যুগের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পের আঘাতে চীনে ১২৬ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পটি সোমবার রাতে গানসু প্রদেশে আঘাত হানে। ভূমিকম্পটির প্রভাবে কেঁপে ওঠে পার্শ্ববর্তী কিনঘাই-ও।
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়ে আরও প্রায় ৭০০ মানুষ আহত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
শক্তিশালী এ কম্পনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া গানসু প্রদেশের জিসহিসান কাউন্টির স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেখানে ৫ হাজারের বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গানসু প্রদেশের উদ্ধার কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে— কারণ সেখানকার গ্রামগুলোর বাড়ির অবস্থা খারাপ ছিল। বেশিরভাগ বাড়িই পুরোনো ও মাটির তৈরি ছিল।
বিজ্ঞাপন
গানসু প্রদেশটি তিব্বত, লোয়েস প্লাতেউস এবং মঙ্গোলিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত এ প্রদেশটি চীনের অন্যতম দরিদ্র অঞ্চল। এছাড়া সেখানে অনেক জাতির মানুষের বসবাস রয়েছে।
ভূমিকম্পটির মূলকেন্দ্র ছিল স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল লিনশিয়া হুই। সেখানে অনেক চাইনিজ মুসলিম বসবাস করেন।
চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ২। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ছিল। আর এটি মাটির মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়েছিল। প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর আরও ১০ বার সেখানে আফটারশক হয়েছিল। ভূমিকম্পটি মাটির কম গভীর অঞ্চলে সংঘটিত হওয়ায়ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে।
গানসু প্রদেশে ধসে পড়া বাড়ি-ঘরের নিচে অনেক মানুষ আটকে থাকলেও; তীব্র ঠাণ্ডার (-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা) কারণে সেখানে উদ্ধার অভিযান ব্যহত হচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি
এমটিআই